বগুড়ায় যৌতুকের টাকা না পেয়ে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদন্ড
যৌতুকের ৩০ হাজার টাকা না পেয়ে নিজ স্ত্রীকে হত্যার দায়ে ঘাতক পলাতক স্বামীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়াও এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও এক বছর সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন আদালত। আজ রোববার দুপুরে বগুড়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক একেএম ফজলুল হক এ রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তির নাম উজ্জ্বল প্রাং (৪০)। তিনি সদর উপজেলার কৈচর দক্ষিণপাড়ার মৃত আবুল হোসেনের ছেলে। উজ্জ্বল দীর্ঘদিন ধরে পলাতক ছিলেন। অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় এ মামলার চারজন আসামিকে খালাস দিয়েছেন আদালত। তারা হলেন, উজ্জ্বলের ভাই হিরা প্রাং, উজ্জ্বলের মা আলেয়া বেওয়া, কাহালুর আলোক্ষছত্র এলাকার মৃত মজিবর রহমানের ছেলে নাজমুল হোসেন লাবু ও তার স্ত্রী লাভলী বেগম।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যাল-১ বগুড়ার পিপি নরেশ চন্দ্র মুখার্জী জানান, ২০০৬ সালের জুন মাসে উজ্জ্বলের সঙ্গে শহরের সূত্রাপুর এলাকার আকবর আলী শেখের মেয়ে আলো বেগমের বিয়ে হয়। ওই সময় উজ্জলকে যৌতুক হিসেবে ৩০ হাজার টাকা দেয়া হয়। এরপর বিদেশ যাওয়ার জন্য উজ্জ্বল আরও ৫০ হাজার টাকা যৌতুক দাবি করে। এ নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে মনমালিন্যের সৃষ্টি হয়। পরে ৫০ হাজার টাকা না দিলে আলো বেগমকে তালাক দিবে বলে উজ্জ্বল জানায়। যৌতুকের টাকা না দেয়ায় একই বছরের ১ আগস্ট বিকাল ৪টায় আলো বেগমের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ১৮ আগস্ট নিহত আলো বেগমের ভগ্নিপতি জাহাঙ্গীর আলম উজ্জ্বলকে প্রধান আসামি করে ৫ জনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘদিন সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহন শেষে রোববার দুপুরে মামলার প্রধান আসামীকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। তিনি আরও জানান, রায় ঘোষণার সময় আসামী উজ্জল পলাতক ছিলেন।
মাহফুজ মন্ডল