পবিত্র কুরআনের আমপারা মুখস্তকরণ প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী সম্পন্ন
মাহে রমজান উপলক্ষে দ্বিতীয় বারের মতো স্কুল ছাত্রদের নিয়ে পবিত্র কুরআনের আমপারা মুখস্তকরণ প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে। বাংলাদেশ দাওয়াহ সার্কেলের উদ্যোগে পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে দেশব্যাপী স্কুলছাত্রদের নিয়ে দ্বিতীয় বারের মতো পবিত্র কুরআনের ৩০তম পারা (আমপারা) মুখস্তকরণ প্রতিযোগিতা ২০২২ এর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান গত ২৮ জুলাই বুধবার সকাল ৯ টায় রাজধানীর ড্রিম হোমস মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন, বাংলাদেশ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান আল্লামা সাইয়্যেদ কামাল উদ্দীন জাফরী।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মিছবাহুল উলূম কামিল মাদরাসার প্রধান মুহাদ্দিস ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব মুহাদ্দিস মাহমুদুল হাসান, বাংলাদেশ ইমাম কমিটির সভাপতি মাওলানা লুৎফর রহমান ও আন-নাহদা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম মিয়াজী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসা টঙ্গী শাখার সাবেক ভাইস প্রিন্সিপাল মাওলানা শফিকুল্লাহ মাদানী।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আল্লামা সাইয়্যেদ কামাল উদ্দীন জাফরী প্রতিযোগীদের লক্ষ্য করে বলেন, তোমরা পবিত্র কুরআনের ৩০তম পারা বিশুদ্ধভাবে মুখস্থ এবং এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে তোমরা প্রমান করেছো তোমরাই সেরা। তোমাদের জন্য দুনিয়াতে যেমন পুরস্কার রয়েছে তেমনি আখেরাতে রয়েছে তোমাদের ও তোমাদের পিতা-মাতার জন্য সর্বোচ্চ মর্যদা। অন্যান্য অতিথিবৃন্দ প্রতিযোগীদের উৎসাহিত করে বলেন, বর্তমান সময়ে যেখানে স্কুল-কলেজের ছাত্রদের একটি অংশ অনৈতিকতার প্রভাবে নিজেদেরকে ধ্বংস করে দিচ্ছে সেখানে তোমরা কুরআনুল কারীমের ৩০তম পারা (আমপারা) মুখস্থ করার মহা সৌভাগ্য অর্জন করেছো। আমরা দোয়া করি বাংলাদেশে দাওয়াহ সার্কেল এই ধরনের চমৎকার আয়োজন আরোও নতুন আঙ্গিকে আমাদের সামনে নিয়ে আসবে, যাতে তারা অনুপ্রাণিত হয়ে একটি সময় তারা সমপূর্ণ কুরআনুল কারীম হিফজ করবে। পাশাপাশি কুরআনের জ্ঞানে জ্ঞানী হয়ে নিজেদেরকে এবং সমাজকে আলোকিত করবে। ইনশাআল্লাহ। সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা শফিকুল্লাহ মাদানী সমাজের বিত্তশালীদের এই ধরণের অনুপ্রেরণামূলক কার্যক্রমে এগিয়ে আসার উদাত্ত আহবান জানান।
উল্লেখ্য, এ প্রোগ্রামে সারাদেশে স্কুল ছাত্রদের মধ্যে ৫০০ জন রেজিস্ট্রেশন করে। বিজ্ঞ বিচারক মন্ডলীর তত্ত্বাবধানে মাহে রমজানে প্রথম, দ্বিতীয় ও ফাইনাল রাউন্ডের মাধ্যমে ৩০ জনকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারকারীদের যথাক্রমে ৪০ হাজার টাকা, ৩০ হাজার টাকা, ২৫ হাজার টাকা ও ৪র্থ থেকে ২০তম স্থান অর্জনকারীদের প্রত্যেককে ৫ হাজার টাকা এবং ২১তম থেকে ৩০তম স্থান অর্জনকারীদের প্রত্যেককে ৩ হাজার টাকা, অর্থসহ কুরআন, সনদ ও ক্রেস্টসহ প্রায় ৫লক্ষ টাকার পুরস্কার প্রদান করা হয়।