দুপচাঁচিয়ার গুনাহারে দুটি গ্রামের বিরোধ মিটে গেল স্থানীয় মেম্বার এম শাহীন আলমের দরদী প্রচেষ্টায়

 

গুনাহার ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ২ এবং ৫ নং ওয়ার্ডের মেম্বার এম শাহীন আলম।

দুপচাঁচিয়া উপজেলার ৪ নং গুনাহার ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের প্রত্যন্তঅঞ্চল পুকুরগাছা পোড়াপাড়া গ্রামবাসীর বিরোধ গ্রামবাসীকে দির্ঘদিন ধরে কষ্ট ও দূর্ভোগে রেখেছিল। সাধারণ সময় এবং মৌসুমে বৃষ্টির পানি ও সংশ্লিষ্ট বর্জ্য নিস্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় পুরো গ্রামে জনস্বাস্থ্য হুমকির সম্মুখিন হয়ে পড়েছিল। বৃষ্টির পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় পুরো গ্রামে অসহনীয় জলাবদ্ধতা তৈরী হয়। এ সময় বিভিন্ন বাড়ির আঙ্গিনায় পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে নারী, শিশু ও বৃদ্ধরা চলাফেরায় অনেক কষ্টের মুখে পড়তো। গ্রাসবাসীর মধ্যে পানি নিস্কাশনের বিষয় নিয়ে দির্ঘ বিরোধ থাকায় স্থানীয় বড় পুকুরে কিংবা ফসলের মাঠে পানি নেমে যেতে পারতো না।

 

পুকুরগাছা পোড়াপাড়া গ্রামবাসীর দূর্ভেোগ মেটাতে ড্রেন খননের কাজ চলছে

বিষয়টি সমাধান না হওয়ায় দূর্ভোগের মাত্রা দিনদিন বাড়তে থাকে। গণদূর্ভোগের বিষয়টি ৫ নং ওয়ার্ডের নব নির্বাচিত মেম্বার ও ৪ নং গুনাহার ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ২ এম শাহীন আলমের নজরে আসলে তিনি গ্রামবাসীর বিরোধ নিরসনে উদ্যোগ গ্রহণ করেন। এ লক্ষে গত ২৯ জুলাই পুকুরগাছা পোড়াপাড়া গ্রামের গন্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে সমঝোতা বৈঠকের আয়োজন করেন। বৈঠকে উপস্থিত গন্যমান্য ব্যক্তিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আব্দুস সামাদ, হুমায়ুন কবির, তোজাম্মেল হোসেন, জিয়ারুল হক, মুন্জুরুল, বিপুল, আকবর, ফেরদৌস, আ: রহীম, মুনছুর প্রমুখ। সমঝোতা বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা শেষে উপস্থিত গ্রামবাসী গ্রহণযোগ্য সমঝোতায় পৌছেন। তারা একটি ড্রেন তৈরী করে পানি ফসলের মাঠে নেমে যাওয়ার রাস্তা তৈরীর ব্যাপারে একমত হন। ২ জুলাই গ্রামবাসীর অংশগ্রহণের ড্রেন তৈরীর কাজ শুরু হয়।

 

ড্রেন খননে বড়দের পাশাপাশি ছোটরাও অংশগ্রহণ করে।

এ প্রতিনিধির কাছে উক্ত এলাকার জনপ্রতিনিধি (মেম্বার) এম শাহীন আলম বলেন, দির্ঘদিন উক্ত দুটি গ্রামের মানুষ কষ্ট পাচ্ছিল। সামান্য উদ্যোগ ও বিরোধ মিটানোর প্রচেষ্টার অভাবে কষ্ট ও দূর্ভোগ দির্ঘস্থায়ী হয়। অসংখ্য মানুষ কষ্ট পেয়েছেন দির্ঘদিন ধরে। অবশেষে সমস্যা কেটে গেল। এম শাহীন আলম বলেন, আমার ক্ষুদ্র জ্ঞান, অভিজ্ঞতা দিয়ে গ্রামবাসীকে বুঝাতে গিয়ে সক্ষম হয়েছি। আমার চেষ্টা সফল হয়েছে। আল্লাহর ইচ্ছায় সমস্যা কেটে গিয়েছে। গ্রামবাসী সমঝোতায় পৌছে গিয়েছে। ড্রেন খননের কাজ চলছে। সবার অংশগ্রহণ আন্তরিক। গ্রামবাসী যৌথভাবে ড্রেন তৈরীর কাজ করছেন। ইনশাআল্লাহ সামনের দিনগুলোতে দুটি গ্রামের প্রায় ২০০ পরিবার স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশের দিকে অগ্রসর হতে পারবে। সব চাইতে বড় ব্যাপার হচ্ছে গ্রামবাসীর মধ্যে শত্রুতার নিরসন হলো। একটা আন্তরিক পরিবেশে সবাই দিন পার করতে পারবেন।

দুপচাঁচিয়া (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *