“কাজী নজরুল ইসলামের বিদ্রোহী কবিতার শতবর্ষ স্মারক” গ্রন্থটি গুরুত্বপূর্ণ রচনাসম্ভার
একটি বই, একটি চেতনা। চিন্তার উন্মেষ প্রকাশক একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রধান উৎস। ইতিহাস, দর্শন ও শিল্প নৈপুন্যের এক অনুপম প্রকাশ। একটি বই যেমন জ্ঞানের খোরাক, তেমনি নির্মল আনন্দেরও আধার। একটি বই তার পাঠককে একটা মানসিক ভ্রমণের মধ্য দিয়ে নিয়ে যায় সুদূর অতীতে। সেখানে সমাজের চিত্র যেমন থাকে, তেমনি থাকে মানুষের মানসিকতার প্রকাশ। একজন লেখকের সজ্ঞাজাত চেতনার প্রজ্ঞাপূর্ণ প্রকাশ একটি বই। আর বইটি যদি কোন প্রবন্ধের সংকলন হয়, তবে তো কোন কথাই নেই। নানা মুণিঋষীর নানা মণি থেকে প্রক্ষেপিত আলোকদর্শনের প্রকাশ, সেটা নিশ্চিত।
এমন একটি প্রবন্ধের সংকলন যদি হয় হাজার যুগের শ্রেষ্ঠ কাব্য-চিন্তক কাজী নজরুল ইসলামের দর্শন-ধারাপাত, কাব্যজগতের আলোকবর্তিকা “বিদ্রাহী” কবিতা নিয়ে, তবে তার প্রত্যেকটি পাতাই হয়ে ওঠে একেকটি সোনার পাতা। এমনই একটি বই হলো সর্বযুগের শ্রেষ্ঠ কবি-মণিষী কাজী নজরুল ইসলামের “বিদ্রোহী” কবিতার শতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে কবি নজরুল ইন্সটিটিউট থেকে প্রকাশিত “কাজী নজরুল ইসলামের বিদ্রোহী কবিতার শতবর্ষ স্মারক” গ্রন্থটি।
এই গ্রন্থটি প্রকাশের মূল কুশিলব যিনি, তিনি একজন নজরুল- প্রাণ বিদগ্ধ গবেষক। নজরুলকে অনেকেই গবেষণা করেন, নিজের মত করে বুকে ধারণ করেন, নিজের মত করে প্রকাশও করেন বটে। তবে নজরুলকে নজরুলীয় চেতনায়, নজরুলীয় চিন্তায় নিজের বুকের মধ্যে অনুভব করা এবং তার আলোকে অনুভূতির প্রকাশ করার মত পণ্ডিতের সংখ্যা আমার দৃষ্টিতে নেহায়েতই কম। তেমনই একজন নিপাট নজরুল প্রেমিক ও গবেষক জনাব মোহাম্মদ জাকীর হোসেন Mohammad Zakir Hossain। তাঁর আশীর্বাদ আমাকে সব সময়ই সামনে চলতে শেখায়, জীবনের সত্যপাঠ বলতে শেখায়। তাঁর ভালবাসার হাতের পরশে মোড়ানো বইটি আমার অসম্ভব রকমের প্রিয় বইগুলোর একটি। তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের ভাষা আমার জানা নেই, তবে আপ্লুত হই, উৎসাহিত হই, ধন্য হই প্রতিনিয়ত।
লেখা: কবি এ কে আজাদ