রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়ছেন ইউক্রেনের মুসলিমরা

রাশিয়া-ইউক্রেন সীমান্ত থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে ইউক্রেনের খারকিভ শহরের একটি ধ্বংস হয়ে যাওয়া বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে আছেন আলী খাদজালি। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়া অভিযান শুররু পর ছয়জনের একটি স্বেচ্ছাসেবক দল গঠন করেন খাদজালি। তীব্র হামলার মধ্যে মানবিক সাহায্য পৌঁছে দেওয়া ও ওই অঞ্চল থেকে মানুষকে সরিয়ে দেওয়ার কাজ শুরু করেন তারা। খাদজালি মে মাসের মাঝামাঝি থেকে অনেকটা অবসরে আছেন। রাশিয়ান বাহিনীকে শহর থেকে হটিয়ে দেওয়া হয়েছে, কিন্তু তীব্র গোলাবর্ষণে উত্তর শহরতলির অনেকাংশ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভেই জন্ম খাদজালির। তার মা ইউক্রেনীয় হলেও বাবা সিরিয়ান।  ২০১১ সালে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার আগে নিয়মিতই দেশটিতে যেতেন তিনি। ২০১৫ সালে রাশিয়ার সহায়তায় ক্ষমতা আঁকড়ে আছেন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাসার আল আসাদ।

ইউক্রেনের মুসলিম যোদ্ধা

এ ব্যাপারে খাদজালি বলেন, আমার দুই দেশ, ইউক্রেন আর সিরিয়া, দুইটাতেই আগ্রাসন চালিয়েছে রাশিয়া। তবে শুধু খাদজালি নন, ইউক্রেনের আরও অনেক মুসলিম দেশের এই দুর্দিনে রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিজেদের মতো করে লড়ে যাচ্ছে বলে কাতার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে। অবশ্য ৪৪ মিলিয়ন জনসংখ্যার  খ্রিস্টান সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশটিতে মাত্র এক শতাংশ মানুষ মুসলিম। তবে এই মুসলিমদের মধ্যে অনেকেই রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন। অনেকেই মুসলিম সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে রাশিয়ার অবিচারের ইতিহাসের কথা মাথায় রেখে একটি উন্মুক্ত ও সহনশীল ইউক্রেনের জন্য লড়ে যাচ্ছেন। ইউক্রেনের মুসলিম জনসংখ্যার সংখ্যাগরিষ্ঠ হল ক্রিমিয়ান তাতার, যারা তুর্কি বংশোদ্ভূত সুন্নি মুসলিম। ২০১৪ সালে রাশিয়ার সঙ্গে সংযুক্ত হওয়া মাতৃভূমি ক্রিমিয়া ফিরে পেতেও লড়াই করে যাচ্ছেন ইউক্রেনের অনেক মুসলিম।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *