ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি হামলায় শিশুসহ নিহত ২৪
গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলের জাবালিয়া শহরে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় অন্তত পাঁচ ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে তিনজন শিশুও রয়েছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে আল–জাজিরা। সংবাদমাধ্যমটি বলছে, দুই দিনের হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৪ জনে। গত শুক্রবার থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বিমান হামলা অব্যাহত রয়েছে। এ ধারাবাহিকতায় গতকাল শনিবার দিনভর হামলার ঘটনা ঘটেছে। আল–জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল জাবালিয়াসহ গাজা উপত্যকাজুড়ে বেসামরিক মানুষজন ও স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।
তবে জাবালিয়ায় হামলা চালিয়ে শিশুসহ বেসামরিক মানুষজনকে হত্যার ঘটনা অস্বীকার করেছে ইসলায়েল। দেশটির দাবি, ওই এলাকায় হামলা চালানো হয়নি। বরং ফিলিস্তিনি জিহাদিরা রকেট হামলা চালাতে গিয়ে ব্যর্থ হওয়ায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। আর এতে প্রাণহানি হয়েছে। গাজা উপত্যকায় দুই দিন ধরে চলমান ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৪–এ দাঁড়িয়েছে। নিহতদের মধ্যে ৬টি শিশু ও একজন নারী রয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ১২৫ জন ফিলিস্তিনি। গতকাল এক বিবৃতিতে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
জাতিসংঘের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গাজায় দুই দিন ধরে চলমান ইসরায়েলি হামলায় উদ্বাস্তু হয়েছে অন্তত ৪০টি ফিলিস্তিনি পরিবার। এ ছাড়া স্থানীয় ৬৫০টির বেশি আবাসন হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ও ১১টি বাড়ি ধ্বয়স হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনের আবাসন মন্ত্রণালয়। বিমান হামলার জবাবে তেল আবিবসহ ইসরায়েলের বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে রকেট ছুড়েছে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীর সদস্যরা। ফিলিস্তিনের ইসলামিক জিহাদ মুভমেন্টের সামরিক শাখা আল–কুদস ব্রিগেড জানিয়েছে, গাজায় হামলার প্রতিবাদে ইসরায়েলের বেশ কয়েকটি শহর ও বিভিন্ন সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে রকেট ও মর্টার হামলা চালানো হয়েছে। তেল আবিব, বেন গুরিয়ন বিমানবন্দর, আশদাদ, বীরসেবা, আশকেলন, নেতিভত ও ডেরতে ৬০টি রকেট ছুড়েছে তারা।
এদিকে বিমান হামলায় প্রাণহানির ঘটনায় সৃষ্ট উত্তেজনা প্রশমনে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনির মধ্যে মধ্যস্থতার চেষ্টা করছে মিসর। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, গাজায় মানুষের জীবন ও সম্পদ রক্ষার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। এ জন্য দুই পক্ষের সঙ্গেই নিবিড় যোগাযোগ রাখছে কায়রো। বিবৃতিতে বিস্তারিত আর কিছু বলা হয়নি।
অনলাইন ডেস্ক: