ডায়াবেটিস রোগীদের অত্যবশ্যকীয় করণীয়: হাঁটতে হবে দৈনিক ৩০ মিনিট
ডায়াবেটিস রোগীদের মূল একটা কারণ হচ্ছে ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স। এটি এমন একটি জিনিস যা শরীরে আছে কিন্তু কাজ করতে পারে না। অর্থাৎ তাকে বেশি বেশি ইনসুলিন বের করতে হয়। আর বেশি বেশি ইনসুলিন বের হওয়ার পর শরীরে নানা রকম রোগের উপস্থিতি টের পাওয়া যায়। বিশেষ করে রোগীদের ওজন ও উচ্চরক্তচাপ বেড়ে যায়, বিভিন্ন হার্ট ডিজিজ দেখা দেয়। এছাড়া নারীদের ক্ষেত্রে পলিসিস্টিট ওভারিয়ান সিন্ড্রোম থেকে শুরু করে ইনফার্টিলিটি বেড়ে যায়। ব্যায়াম ও খাদ্যবিধির সাহায্যে একে প্রথমে মোকাবেলা করা হয়। তবে অনেক সময় মুখে খাওয়ার ওষুধের প্রয়োজন হয়, এমনকি কোনো কোনো রোগীর ক্ষেত্রে ইনসুলিন ইনজেকশনও দিতে হয়। ইনসুলিন নেয়ার মাত্রা যদি কমে আসে তাহলে তার ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ ভালো থাকে। এতে হূদরোগ ভালো হতে থাকে।
ডায়াবেটিস রোগীদের ব্যায়ামের বিষয়ে বারডেম জেনারেল হাসপাতাল ও ইব্রাহিম মেডিকেল কলেজের ডায়াবেটিস ও হরমোন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. ফিরোজ আমিন বণিক বার্তাকে বলেন, ডায়াবেটিস রোগীদের নিয়মিত হাঁটতে হবে। যদি হার্ট বা বুকে ব্যথা থাকে তাহলে হূদরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে হাঁটতে হবে। প্রথম পাঁচ মিনিট অস্থিসন্ধির জয়েন্ট নড়াচড়ার ব্যায়াম করতে হবে। যেমন হাঁটু বাঁকা ও সোজা করা, কোমর, ঘাড়, গোড়ালি, কনুইয়ের ব্যায়াম ইত্যাদি। তারপর আস্তে আস্তে হেঁটে গতি বাড়াতে হবে। এরপর জোরে জোরে ৩০ মিনিট হাঁটতে হবে। এভাবে সপ্তাহে অন্তত পাঁচদিন হাঁটতে হবে। এমনভাবে হাঁটতে হবে যাতে হূত্স্পন্দন বেড়ে যায়। প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের স্বাভাবিক হূত্স্পন্দনের হার প্রতি মিনিটে ৬০ থেকে ১০০ স্পন্দন। তার বেশি হলে সেটি অস্বাভাবিক। ছোট বাসা হলে ছাদে হাঁটুন। টানা ৩০ মিনিট হাঁটতে না পারলে ভাগ করে তিনবারে হাঁটুন।
সকালের নাশতা, দুপুরে এবং রাতের খাবারের দেড় ঘণ্টা পর ১০ থেকে ১৫ মিনিট করে হাঁটার পরামর্শ দিয়েছেন এ চিকিৎসক। তিনি বলেন, ডায়াবেটিসের রোগীরা ঘরে ব্যবহারযোগ্য সাইকেল ট্রেডমিল মেশিনে ব্যায়াম করতে পারেন। এতে ২০ মিনিটের ব্যায়ামই যথেষ্ট।
সংগৃহিত