বগুড়ায় অনুষ্ঠিত হলো রোবটিক অলিম্পিয়ার্ড ৪টি ইভেন্টে প্রতিযোগি ৫৬টি রোবট

হাতে ধরে কলকাঠি না নাড়ালেও চলছে কলের পুতুল। আধুনিক সভ্যতার বিষ্ময়কর এক আবিস্কার যন্ত্রমানব। রোবট ফুটবল খেলছে, চলাফেরা করছে। বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে চ্যাম্পিয়নও হচ্ছে। প্রতিযোগিতার সামনে রোবট থাকলেও এর পিছনে ছিল বুদ্ধিমত্তার প্রতিযোগিতা। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে  সুফল পেতে মানবসম্পদের বিকল্প হিসেবে ইন্টারনেট অব থিংকস এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগানোর প্রতিযোগিতা ছিল এটি। জাতীয় কম্পিউটার প্রশিক্ষন ও গবেষণা একাডেমি শনিবার বগুড়ায় দিনব্যাপি আয়োজন কওে রোবটিক্স অলিম্পিয়াড। দেশের ইতিহাসে এত বড় অংশগ্রহন মূলক প্রতিযোগিতা এটিই প্রথম বলে মনে করেন আয়োজকবৃন্দ।

মেলায় অংশগ্রহণকারীদের দক্ষতা প্রদর্শণ।

বগুড়ায় জাতীয় কম্পিউটার প্রশিক্ষন ও গবেষণা একাডেমি (নেকটার) চত্বরে দেশের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপিঠের শিক্ষার্থীবৃন্দ এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহন করেন। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ^বিদ্যালয়, ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়, রাজশাহী প্রকৌশল বিশ^বিদ্যালয়, ব্র্যাক বিশ^বিদ্যালয়,নর্থ সাউথ বিশ^বিদ্যালয়, এআইআইবিসহ ৪৯ টি সরকারি ও বেসরকারি বিশ^বিদ্যালয়ের ১শ ৬ টি টিমে ৩শত ৩১ জন প্রতিযোগি অংশগ্রহন করছেন। শনিবার সকালে নেকটার মিলনায়তনে এ অলিম্পিয়াডের উদ্বোধন করেন কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব কামাল হোসেন। অনুষ্ঠানে বুয়েটের সিএসই বিভাগের সাবেক ডীন ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ এ টু আই এর প্রকল্প পরিচালক ড. দেওয়ান মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির। রোবো সুকার বা ফুটবল প্রতিযোগিতা, লাইন ফলোইং রোবটিক্স, প্রজেক্ট শোকেজিং এবং পোষ্টার প্রেজেন্টশেন এই চারটি প্রতিযোগিতায় মোট ৫৬টি রোবট অংশ গ্রহন করে।

প্রজেক্টের ডিসপ্লে…।

আয়োজক প্রতিষ্ঠান নেকটারের পরিচালক শাফিউল ইসলাম জানান,বর্তমান বিশে^র বহুল আলোচনার বিষয়ের মধ্যে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব অন্যতম। চতুর্থ শিল্প বিপ্লব হলো আধুনিক স্মার্ট প্রযুক্তকে কাজে লাগিয়ে প্রচলিত উৎপাদন এবং শিল্প ব্যবহার স্বয়ংক্রিয়করনের একটি চলমান প্রক্রিয়া। তথ্য প্রযুক্তির বাধাহীন ব্যবহার এবং দ্রুত তথ্য স্থানান্তরের মাধ্যমে গোটা বিশে^র জীবন প্রবাহের গতি বৃদ্ধি পেয়েছে। তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে মানবশ্রমের বদলে রোবটের মাধ্যমে কলকারখানায় গতি বৃদ্ধি করে উৎপাদন বৃদ্ধিতে ৪র্থ শিল্প বিপ্লবে রোবট ভাল ভ’মিকা রাখতে পারবে তার লক্ষ্যে এমন আয়োজন।

রোবটিক অলিম্পিয়াডকে দেখতে উৎসুক জনতার ভীর ছিল লক্ষনীয়। সকাল থেকে শহরের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী শিক্ষকরা এসেছিলেন এই প্রদর্শনী দেখতে। বগুড়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ছাত্রী রেশমা জানান, এটি একটি যুগোপুযোগি প্রদর্শনী। মানুষের বিকল্প রোবট একসময় মানুষের বিকল্প হয়ে কাজ কর্ম করবে এটি সত্যিই অবাক করার মত তাই এটি দেখতে জানতে এখানে আসা। অনেক কিছু জানা গেলো বলে অভিমত এই খুদে শিক্ষার্থীর। লাইন ফোলইং প্রতিযোগিতায় ঢাকা প্রকৌশল বিশ^বিদ্যালয় (গাজীপুর) ডুয়েট  চ্যাম্পিয়ন, এবং  রানার আপ হওয়ার গৌরব অর্জিন করেন। ডিরপোর্ট লেখা পর্যন্ত অন্য ৩টি ইভেন্টের ফলাফল প্রক্রিয়াধীন ছিল।

বগুড়া অফিসঃ

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *