২২ কোটি টাকা ব্যয়ে পুনঃনির্মাণ হচ্ছে বগুড়ার ফতেহ আলী ব্রিজ: দেখতে হবে দৃষ্টিনন্দন
অবশেষে দীর্ঘ প্রতিার অবসান ঘটিয়ে অচিরেই নতুন করে নির্মাণ করা হচ্ছে পূর্ব বগুড়ার সাথে শহরের যোগাযোগের অন্যতম প্রধান মাধ্যম ফতেহ আলী ব্রিজটি। আগামী শুষ্ক মৌসুমে অর্থাৎ চলতি বছরের নভেম্বরে ব্রিজটির নির্মাণযজ্ঞ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক ও জনপদ বিভাগ বগুড়া কার্যালয়ের নির্বাহি প্রকৌশলী মো. আশরাফুজ্জামান।
এই কর্মকর্তা আরও জানান, চলতি বছরের ৩১ জুলাই বাংলাদেশ সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয় সেতুটির নকশা ও অর্থ বরাদ্দ অনুমোদন করেছে। সড়ক ও জনপদ বিভাগ ঢাকা থেকে এই ব্রিজটি নির্মাণের জন্য ২২ কোটি টাকার অনুমোদন পাওয়া গেছে, অল্প কিছু দিনের মধ্যে দরপত্র আহবান করে আগামী শুষ্ক মৌসুম অর্থাৎ চলতি বছরের নভেম্বরেই ব্রিজটির নির্মাণ কাজ শুরু হবে। ব্রিজটির দৈর্ঘ্য হবে ৬৮ মিটার আর চওড়া হবে ১২.৩ মিটার। এরমধ্যে সেতুর দু’পাশে আড়াই মিটার করে ফুটপাত থাকবে। সেতুটির নির্মাণ কাজের জন্য দরপত্র আহ্বান করে চলতি বছরের নভেম্বর–ডিসেম্বর মাসে কাজ শুরু করার পরিকল্পনা রয়েছে। সেতুটির নির্মাণ কাজ শেষ হবে আগামী বছরের জুন মাসে। সেতুটি দৃষ্টিনন্দন করার পাশাপাশি আধুনিকভাবেও নির্মাণ করা হবে। এই কর্মকর্তা আরও জানান, ২০২১ সালে ব্রিজটি নির্মাণের জন্য একটি প্রস্তাবনা পাঠানো হয়। এটি বগুড়াবাসীর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্রিজ। যত দ্রুত সম্ভব ব্রিজটি কাজ শুরু করা হবে। ব্রিজটি নির্মাণকালে বর্তমান ব্রিজটির পাশ দিয়ে একটি পায়ে চলাচল করার মতো একটি বিকল্প ব্যবস্থা করার পরিকল্পনার কথাও জানান এই কর্মকর্তা।
উল্লেখ্য, ১৯৭০ সালে নির্মিত ফতেহ আলী ব্রিজকে ২০১৮ সালের আগস্টে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়। এর প্রায় তিন মাস পর ব্রিজটির ওপর দিয়ে ভারি যান চলাচল বন্ধে উভয়পাশে তিনটি করে ছ’টি পিলার বসানো হয়। সে সময় গুরুত্বপূর্ণ এই ব্রিজটি ভেঙে এখানে সম্পূর্ণ আধুনিক ও দৃষ্টিনন্দন ব্রিজ নির্মাণ করার কথা বলা হয়। ওই সময় নতুন ব্রিজ নির্মাণের জন্য মাটি পরীা ও নকশা প্রনয়ণের কাজের কথাও জানানো হয়েছিল। নকশা অনুযায়ি প্রয়োজনীয় বরাদ্দ পেলেই ওই বছরের ডিসেম্বরেই নতুন ব্রিজ নির্মাণের কথাও ছিল। তবে ওই এলাকায় জমি অধিগ্রহণ খরচ বেশি হওয়ার বিপরীতে বরাদ্দ না থাকায় পুরাতন ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজ দিয়েই জনসাধারণকে চলাচল করতে হচ্ছে। ব্রিজটি নির্মাণ হলে পূর্ব বগুড়ার তিনটি উপজেলার কয়েক লাখ মানুষের যাতায়াত ও পণ্য পরিবহনে দীর্ঘদিনের কষ্ট লাঘব হবে।
তথ্য উৎস: দৈনিক বগুড়া