জয়পুরহাটে অপহরণ ও চাঁদাবাজীর মামলায় ইউপি সদস্য রানা ইসলঅম কারাগারে
জয়পুরহাটে অপহরণ, চাঁদাবাজী ও মারপিটের মামলায় সদর উপজেলার দোগাছী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য (মেম্বার) রানা ইসলামকে জেলা কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। গত রবিবার দুপুরে জয়পুরহাটের অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে সে জামিন আবেদন করলে জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিজ্ঞ বিচারক আব্দুল্লাহ আল মামুন।
রানা ইসলাম সদর উপজেলার চকশ্যাম গ্রামের ইয়াকুব আলীর ছেলে ও দোগাছী ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নং ওয়ার্ডের সদস্য। এর আগে, গত ৫ আগস্ট সদর থানায় ৪জনকে আসামী মামলাটি করেন সোহান ওরফে সোহাগ প্রামাণিক নামে এক ব্যক্তি। মামলার অন্য আসামীরা হলেন, তেঘর বিশা গ্রামমের আব্দুর রশিদের ছেলে টুটুল হোসেন, টুলু মন্ডলের ছেলে তানভির ইসলাম ও নুরুল ইসলামের ছেলে ইমরান হোসেন।
মামলার বিবরণে বলা হয়েছে, মামলার বাদী সোহান ওরফে সোহাগ প্রামাণিক ৫ আগস্ট দুপুরে জয়পুরহাট শহরে প্রয়োজনীয় কাজ শেষ করে রিকশায় করে নিজ বাড়িতে ফেরার পথে চকশ্যাম শ্মাশান কালী মন্দির এলাকায় আসামীরা অস্ত্রের মূখে তার পথরোধ করে অপহরের জন্য একটি অটোতে উঠায়। এসময় সে চিৎকার করলে আসামীরা তাকে মারপিট করে জখম করে এবং মুখ চেপে ধরে গলায় চাকু ধরে। এসময় তারা বাদীর কাছ থেকে দেড় লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে এবং সেদিনের মধ্যে টাকা না দিলে হত্যার হুমকি দেন। একপর্যায়ে তাকে অটোতে করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যাওয়ার জন্য খনজনপুর উত্তরপাড়ায় আসলে লোকজন দেখে সে চিৎকার করে।
এসময় স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসে। ঐ সময় র্যাবের টহল দল দেখে সে র্যাবের কাছে দৌড়ে গিয়ে আশ্রয় নেয় এবং র্যাবকে বিষয়টি খুলে বলে। এসময় র্যাব সদস্যরা আসামী টুটুল হোসেনকে আটক করে ও বাকিরা পালিয়ে যায়। র্যাবের টহল দল আসামীদের ব্যবহৃত চাকু ও লাঠি উদ্ধার করে। পরে এ ঘটনায় সেদিনই তিনি থানায় ৪ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন।
অনলাইন ডেস্ক: