ভারতের বৃহত্তর দল কংগ্রেস সভাপতি পদ কি গান্ধী পরিবারের বাইরে যাচ্ছে?

সোনিয়া গান্ধী

বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের দেশ ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস। বর্তমানে দলটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর স্ত্রী সোনিয়া গান্ধী। গুঞ্জন উঠেছে, এবার গান্ধী পরিবারের বাইরে চলে যেতে পারে কংগ্রেস সভাপতির পদ। এরই মধ্যে দলটির পরবর্তী সভাপতি কে হচ্ছেন, তা নির্ধারণের দিন তারিখ ঠিক করতে আগামী রবিবার বৈঠকে বসবে দলের ওয়ার্কিং কমিটি। জানা যায়, গান্ধী পরিবারের কেউ আর দলের সভাপতির দায়িত্ব নিতে চায় না। ফলে এবার গান্ধী পরিবারের বাইরের কেউ সভাপতির আসনে বসতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত একজনের নামই সামনে এসেছে, তিনি হলেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট।  কংগ্রেসের সাধারণ সচিব কেসি বেণুগোপাল টুইট করে জানিয়েছেন, আগামী ২৮ আগস্ট স্থানীয় সময় বিকাল সাড়ে তিনটায় একটি ভার্চুয়াল বৈঠক হবে। তাতে কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনের সময়সূচি অনুমোদন দেওয়া হবে। 

অশোক গেহলট

অশোক গেহলট বলেন, আমি মিডিয়ার কাছ থেকেই এই প্রথম শুনছি। আমি এই বিষয়ে কিছু জানি না। দলের পক্ষ থেকে আমাকে যা দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, আমি সেই কাজই করছি।”  তিনি আরও বলেন, যদি রাহুল গান্ধী সভাপতি না হন, তবে দেশের সমস্ত কংগ্রেস কর্মীই আশাহত হবেন।

শারীরিক অসুস্থতার চিকিৎসা করাতে দেশের বাইরে যাবেন সোনিয়া গান্ধী। সঙ্গে যাচ্ছেন রাহুল এবং প্রিয়াঙ্কাও। ফলে তিনজনের কেউই থাকবেন না ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে। তবে ভার্চুয়ালি বৈঠকে যোগ দেবেন তারা। লোকসভা নির্বাচনে পরপর দুবার কংগ্রেসের ভরাডুবির পর ২০১৯ সালে দলীয় সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দেন রাহুল। তার পর থেকে অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি হিসাবে দলের দায়িত্ব পালন করছেন রাহুলের মা সোনিয়া গান্ধী। সভাপতি হিসেবে যার নাম আসছে সেই অশোক গেহলট গত মঙ্গলবার দিল্লিতে সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তবে অশোক সাংবাদিকদের বলেন, “আমি মিডিয়ার কাছ থেকেই এই প্রথম শুনছি। আমি এই বিষয়ে কিছু জানি না। দলের পক্ষ থেকে আমাকে যা দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, আমি সেই কাজই করছি।” তিনি আরও বলেন, যদি রাহুল গান্ধী সভাপতি না হন, তবে দেশের সমস্ত কংগ্রেস কর্মীই আশাহত হবেন।

রাহুল গান্ধী

আনন্দবাজার পত্রিকা বলছে, রাহুল গান্ধী নিজে ফের কংগ্রেস সভাপতির পদের দায়িত্ব নিতে নারাজ। মা সোনিয়া গান্ধী শারীরিক অসুস্থতা উপেক্ষা করে ওই পদে থেকে যান, তা তিনি চাইছেন না। বোন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী সেই দায়িত্ব নিন, তাও চাইছেন না রাহুল। ২০১৯এর লোকসভা নির্বাচনের পরেও গান্ধী পরিবারের বাইরের কাউকে সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ার দাবি তুলেছিলেন রাহুল। শেষ পর্যন্ত কংগ্রেসের প্রবীণ নেতাদের চাপে সোনিয়া গান্ধীই ফের সভানেত্রীর দায়িত্ব নিতে রাজি হন।  পরিস্থিতিতে কংগ্রেসের সামনে দুটি বিকল্প রয়েছে। প্রথম বিকল্পসীতারাম কেশরীর পরে সত্যিই গান্ধী পরিবারের বাইরে থেকে কাউকে কংগ্রেসের সভাপতি বেছে নেওয়া। কেশরীর পরে ১৯৯৮ সালে সোনিয়া কংগ্রেসের সভানেত্রী হন। এখনও তিনিই সভানেত্রী। মাঝে ২০১৭ থেকে ২০১৯, দুবছর রাহুল সভাপতি ছিলেন। দ্বিতীয় বিকল্প হলো, ফের কোনও অজুহাত খাড়া করে কংগ্রেস সভাপতির নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া। রাহুল সভাপতির পদে দায়িত্ব নিতে রাজি ছিলেন না বলে এর আগে দুবার কংগ্রেস সভাপতির পদে নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।

অনলাইন ডেস্ক: ( কৃতজ্ঞতা দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন )

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *