কাতার : লিডারশীপ মধ্যপ্রাচ্যের এই ছোট্ট দেশকে এগিয়ে নিয়েছে অনেক উচ্চে

১) আমেরিকার মতো পরাশক্তিকে লবিং এ হারিয়ে ২০২২ ফুটবল বিশ্বকাপ এর আয়োজক হলো। কাতারে।

২) আয়োজনের পরে সবার একই প্রশ্ন মরুভূমির বালিতে কিভাবে বিশ্বকাপ হতে পারে? কাতার সবগুলো স্টোডিয়ামকেই এয়ার কন্ডিশনিং করে দিলো। আধুনিক উপায়ে গাছ লাগালো।

৩) কাতার ফুটবল ঐতিহ্যবাহী দেশ না হওয়ায় কাতারে আধুনিক স্টোডিয়াম ছিলো না, ১১,০০০ বর্গকিলোমিটার এর ছোট্ট দেশটিতে বিশ্বকাপের দর্শক ধারণক্ষমতা সম্পন্ন পর্যাপ্ত পরিমাণ হোটেল ছিলো না, কাতার সবগুলো সমস্যাই মিটিয়ে ফেললো।

৪) কাতার বিশ্বকাপ এর খরচ কত জানেন? ২২৮ বিলিয়ন ডলার।( টাকার অংকটা বুঝতে বেশিদূর যেতে হবে না, বাংলাদেশকে ২ বিলিয়ন এর জন্য আইএমএফ এর কাছে হাত পাততে হয়) যা গত ১০ বিশ্বকাপ এর মোট খরচ মেলালেও তার বেশি হবে।

৫) ফাইনাল ম্যাচ হবে লুসাইল স্টোডিয়ামে। লুসাইল স্টোডিয়াম এর জন্য তারা পুরো একটা শহর তৈরী করে ফেললো। শহরের নাম লুসাইল সিটি। যাকে ফিউচার দুবাই বলা হচ্ছে।

৬) বিশ্বকাপ এর ৬ মাস আগে ফিফাকে সরাসরি বলে দিলো মদ, সমকামিতা কোনোটাই চলবে না, আমরা ১ মাসের জন্য নিজেদের ধর্ম পরিবর্তন করবো না বলেও ঘোষনা দিলো। ফিফা সমঝোতায় আসতে বাধ্য হলো।

৭) বিশ্বকাপের ১০০ দিন আগে ইসরায়েল এর নাগরিকদের ফিলিস্তিন এর পাসপোর্ট নিয়ে বিশ্বকাপ দেখতে হবে, যদি তারা দেখতে চায় বলে ঘোষনা দিলো কাতার।

কাতার এর টাকা আছে। কাতার এর মেরুদন্ড আছে। ১১০০০ বর্গকিলোমিটার এর ছোট্ট দেশ কাতার বিশ্বকে বুঝিয়ে দিলো লিডারশীপ একটা দেশকে কোথায় নিতে পারে।

– সংগৃহিত

 

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *