বগুড়ায় জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বঞ্চিত মান্নানের স্বতন্ত্র প্রার্থীতার ঘোষণা
আসন্ন বগুড়া জেলা পরিষদ নির্বাচনে নানামুখি চমক ও উত্তেজনা অপেক্ষা করছে। সাধারণ নাগরিক বিভিন্ন রকম আলোচনা করছেন। সকল জল্পনা কল্পনা উপেক্ষা করে বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ ডা. মকবুল হোসেনের উপরই আস্থা রেখেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ। তবে মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থীতার ঘোষণা দিয়েছেন বগুড়া শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মান্নান আকন্দ। তিনি শক্তিশালী প্রার্থী হিসেবে বিবেচিত হবেন এমনটাই সাধারণের ধারণা। জানা গেছে, অনেকটা শারীরিকভাবে দূর্বল ডা. মকবুল হোসেনকে চেয়ারম্যান পদে দ্বিতীয়বারের মতো মনোনয়ন দিয়েছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ড। মনোনয়ন প্রত্যাশী অপর নেতারা তাকে জেলা পরিষদ পরিচালনায় বয়সের ভারে অচল প্রমাণের চেষ্টা করলেও তার সততার কাছে কোনো কিছুই টিকতে পারেনি। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সিনিয়র সহ-সভাপতি। এর আগে ২০১১ সালে তাকে প্রথম প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেয় সরকার। এরপর ২০১৬ সালের প্রথম নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন দেয় আওয়ামী লীগ। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারীতে পাঁচ বছর মেয়াদ শেষ হলে তাকে দ্বিতীয় দফায় প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেয় সরকার। বর্তমানে তিনি প্রশাসকের দায়িত্ব পালন করছেন।
ডা. মকবুল ব্যক্তিগত জীবনে পল্লী চিকিৎসক। বগুড়া সদরের নারুলী এলাকায় তার বাড়ীটি এখনো টিনসেড। এবারের জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ১১ নেতা দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। অবশেষে সবকিছুর অবসান ঘটিয়ে আবারো দলের মনোনয়ন পান ডা. মকবুল হোসেন। তিনি ১৯৩৪ সালে বগুড়া জেলার গাবতলী উপজেলার কাগইল এলাকায় জন্ম গ্রহন করেন এবং ১৯৫০ সালে ম্যাট্রিকুলেশন পাশ করেন। এরপর তিনি ১৯৫৪ সালে মেডিক্যাল (ডিপ্লোমা) স্কুল থেকে এমএলএফ পাশ করেন। তিনি ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। এদিকে চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দিতার ঘোষণা দিয়েছেন বগুড়া শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ঠিকাদার ও পরিবহন ব্যবসায়ী আব্দুল মান্নান আকন্দ। ইতোমধ্যে তার পক্ষে জেলা নির্বাচন অফিস থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে। জানা গেছে, সর্বশেষ বগুড়া পৌরসভা নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মেয়র পদে আব্দুল মান্নান আকন্দ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ৫৪ হাজার ভোট পেয়ে চমক সৃষ্টি করেন। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী আবু ওবায়দুল হাসান ববি নৌকা প্রতীকে অংশ নিয়ে জামানত হারান। তবে বিএনপিসহ অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের কেউ চেয়ারম্যান বা সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন না বলে জানা গেছে।
অনলাইন ডেস্ক: