পাঁচবিবির বাগজানায় রাস্তা খুড়ে ঠিকাদার লাপাত্তা, দূর্ভোগে এলাকাবাসী

জয়পুরহাটের পাঁচবিবির বাগজানা ইউনিয়ন পরিষদের সামনে থেকে দিবাকরপুর উচ্চ বিদ্যালয় যাওয়ার রাস্তাটি পাকাকরণের নিমিত্তে খনন করে ঠিকাদার। দীর্ঘ ৯ মাস আগে রাস্তাটি খনন করে ফেলে রাখলেও অদ্যবদি কাজ শুরু হয়নি। বর্ষার পানিতে থৈথৈ করছে খনন করে রাখা রাস্তাটি। বৃষ্টির পানি ও কাদাতে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে রাস্তাটি। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে এলাকার সাধারণ জনগণ, স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীসহ বিশেষ করে ভ্যান-রিক্সা ও মটরসাইকেল চালকরা। এলাকার মানুষের এমন দূর্ভোগ দেখার যেন কেউ নেই।

উপজেলার বাগজানা ইউপি চেয়ারম্যান নাজমুল হক বলেন, রাস্তাটি শুধু খনন করে দীর্ঘদিন এভাবে ফেলে রাখায় এলাকার লোকজনের অনেক কষ্ট পোহাতে হচ্ছে। রাস্তাটি অতিদ্রুত পাকাকরণ করে সবার কষ্ট লাঘব করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট অনুরোধ করেন তিনি। কুটহারা (সরদারপাড়ার) সাবেক ইউপি সদস্য এ্যাডঃ সাজ্জাদ হোসেন সরদার সাজু বলেন, রাস্তাটি খুড়ে ঠিকাদারের লোকজন যে হাওয়া হয়ে গেছে। অতিদ্রুত রাস্তার কাজ শেষ করতে তিনিও কর্তৃপক্ষর দৃষ্টি আকর্ষন করেন। ঘোড়াপা গ্রামের ভ্যানচালক জইমদ্দিন বলেন, যেদিন থেকে রাস্তাটি খুড়েছে সেদিন থেকে বাড়িতে ভ্যানটি নিয়ে যেতে পারিনা।

বাগজানায় গ্যারেজে ভ্যান রাখি এবং প্রতিদিন ১২০ টাকায় চার্জ দেই। সারাদিন রাস্তায় ভ্যান চালাতাম রাতে বাড়িতে চার্জ দিতাম। একই এলাকার রংমিস্ত্রীর সর্দার আনোয়ার হোসেন বলেন, আমরা ৫/৭ জন হিলিতে বিভিন্ন বাসাবাড়িতে রংয়ের কাজ করি। রাস্তার এমন অবস্থায় আমাদেরকে অনেক দূর ঘুরে কাজে যেতে হয়। বাগজানা দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্র নয়ন বলেন, সাইকেল নিয়ে আমি স্কুলে যাই কিন্ত রাস্তায় অতিরিক্ত কাদা আর গর্তের জন্য খুব কষ্ট হয়। বৃষ্টি হলে কাদার পরিমান বেশী হয় সেদিন দীর্ঘপথ হেটেই স্কুলে যাই আমিসহ অনেকেই। চলতি বছর ২২শে জানুয়ারী প্রায় সোয়া কোটি টাকা ব্যয়ে দেড় কিঃমিঃ রাস্তাটি পাকাকরণ কাজের উদ্বোধন করেন জয়পুরহাট-১ আসনের সাংসদ এ্যাডঃ সামছুল আলম দুদু। রাস্তাটির কাজ করছে মের্সাস সাঈদ ট্রেডার্স ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। পাঁচবিবি উপজেলা প্রকৌশলী ওয়ালীউল্লাহ সেখ বলেন, জন দূর্ভোগের কথা বিবেচনা করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে তাগাদা দেওয়া হয়েছে। আশা করি আগামী সপ্তাহ কাজ শুরু হবে।

পাঁচবিবি প্রতিনিধি:

 

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *