জয়পুরহাট জেলা পরিষদ নির্বাচনে ৪ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল চেয়ারম্যান পদে ৫ ও সদস্য পদে ৩৩ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ
জয়পুরহাট জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৫ ও সদস্য পদে ৩৭ প্রার্থীর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৫ জনই ও সদস্য পদে ৩৩ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ। ১৮ সেপ্টেম্বর রবিবার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে যাচাই বাছাই অন্তে ৪ জন সাধারন পুরুষ সদস্য প্রার্থীতা বাতিল করা হয়েছে। সাধারণ সদস্য পদে ২৪ জন এবং ২টি সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ৯ জন প্রার্থী মোট ৩৩ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষনা করেছে জেলা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মো: শরিফুল ইসলাম। এ নির্বাচন আগামী ১৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে। জেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ৪শ’ ৯৩ জন। জেলা নির্বাচন অফিসার ও সহকারী রির্টানিং অফিসার আমিনুর রহমান মিঞা জানান, চেয়ারম্যান পদে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনিত প্রার্থী খাজা শামসুল আলম, শহরের হারাইল এলাকার স্বতন্ত্র প্রার্থী নুরুল আমিন বকুল, সাবেক আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল আজিজ মোল্লা, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও জেলা মটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারন সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রফিক, জেলা জাসদের সভাপতি আবুল খায়ের মোঃ সাখাওয়াত মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
অপর দিকে গতকাল জয়পুরহাট জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী খাজা সামছুল আলম বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচনে জয়ের লক্ষে শক্তিশালী প্রার্থী জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল আজিজ মোল্লাকে নিয়ে দুই ঘণ্টার বৈঠক করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা। সেখানে তার প্রার্থীতা প্রত্যাহার করতে অনুরোধ করেছেন আ.লীগের নেতারা। এ বিষয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল আজিজ মোল্লা বলেন, আমাকে নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতারা বৈঠকে বসেন। সেখানে তারা আমাকে জানান যে, নেত্রী যেহেতু খাজা স্যারকে মনোনয়ন দিয়েছে। উনার বয়সও হয়েছে, এটিই তার শেষ ইচ্ছা। তার ও নেত্রীর মান রক্ষার্থে আপনাকে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের জন্য আমরা অনুরোধ করছি। আমি তাদের ঘণ্টার ওপর বক্তব্য শুনে বলেছি, আপনারা আমাকে দলেও রাখবেন না, আবার দলের বাইরে থেকে কাজ করবো তখনও অনুরোধ করবেন, এটা আবার কেমন কথা। দলকে সু-সংগঠিত করার পরও স্থানীয় ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে আমাকে দল কে অন্যায় ভাবে বিনা কারণে বহিষ্কার করা হয়েছে। দলের জন্য অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছি। জেল জুলুমেরও স্বীকার হয়েছি।
জেলা আ.লীগের সভাপতি আরিফুর রহমান রকেট বলেন, সামনে জেলা পরিষদ নির্বাচন। বয়স্ক একজন মানুষকে নেত্রী মনোনয়ন দিয়েছে। তাকে চাপের মধ্যে না ফেলে আমরা সম্মান দিতে চাই। সেই উদ্দেশ্যেই এই বৈঠক করা হয়েছে। বৈঠকে জেলা আ.লীগের সভাপতি আরিফুর রহমান রকেট, সাধারণ স¤পাদক জাকির হোসেন মন্ডল, সহ-সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম সোলায়মান আলী, সহ-সভাপতি এ্যাড. মোমিন আহম্মেদ চৌধুরী জিপি, এ্যাড. নৃপেন্দ্রনাথ মন্ডল পিপি, গোলাম হাক্কানী, মহসীন আলী, জাহিদুল আলম বেনু, যুগ্ম সাধারণ স¤পাদক ও পৌর মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক সহ দলীয় জেলা আ.লীগের শীর্ষ পর্যায়ের ১৫-২০ জন নেতা উপস্থিত ছিলেন। প্রসঙ্গত, আব্দুল আজিজ মোল্লা জয়পুরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির পদে ছিলেন। তিনি ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়পুরহাট-২ (আক্কেলপুর-কালাই-ক্ষেতলাল) আসনে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছিলেন। পরে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। এরপর তিনি রাজনীতির মাঠ থেকে দূরে সরে যান। এখনও তাকে দলে ফিরিয়ে নেওয়া হয়নি। জয়পুরহাট জেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।
মাশরেকুল আলম