জয়পুরহাটে সাহাপুর সরদারপাড়া গ্রামে পুকুরে বিলীন হচ্ছে মসজিদে যাতায়াতের রাস্তা: প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনায় গ্রামবাসীর মানবন্ধন

জয়পুরহাট সদর উপজেলার সাহাপুর সরদারপাড়া এলাকায় সরকারী নিয়ম না মেনে অবৈধভাবে পুকুর খনন করে মাটি ও বালু উত্তোলন করার কারণে পুকুরে বিলীন হয়ে যাচ্ছে গ্রামবাসীর মসজিদে যাতায়াতের রাস্তা। এর প্রতিবাদে ১৯ সেপ্টেম্বর সোমবার দুপুরে ওই পুকুরের পাড়ে মানববন্ধন করেছে স্থানীয় গ্রামবাসী। এছাড়া এ সমস্যা দ্রুত সমাধানের জন্য জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগও দিয়েছেন তারা। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন প্রশাসন।

সাহাপুর সরদারপাড়া এলাকায় সরকারী নিয়ম না মেনে অবৈধভাবে পুকুর খনন করে মাটি ও বালু উত্তোলন করার কারণে পুকুরে বিলীন হয়ে যাচ্ছে গ্রামবাসীর মসজিদে যাতায়াতের রাস্তা।

মানববন্ধনে গ্রামবাসী অভিযোগ করেন, জয়পুরহাট সদর উপজেলার সাহাপুর সরদারপাড়া এলাকার প্রভাবশালী খায়রুল ও বেলাল সরকারের অনুমোদন না নিয়ে অবৈধভাবে পুকুর খনন করেছে। আর খনন করা পুকুরের মাটি ও বালু বিক্রি করেছে তারা। খনন করার পর পুকুরের একটি পাড় তারা আর বাঁধেননি। ফলে বৃষ্টিতে ভেঙ্গে যাচ্ছে ওই গ্রামের মসজিদ, ঈদগাহ মাঠ ও কবরস্থানে যাওয়ার পুকুর পাড়ের রাস্তাটি। এতে চলাচল করতে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন গ্রামের সর্বস্তরের মানুষ। এছাড়া আশেপাশের বাড়িঘর পুকুরে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা করছেন তারা। স্থানীয় গ্রামবাসী জহুরুল, আয়েজাতুন্নেছা, দেলোয়ার, ভুট্টু, বাদেশ, মামুদসহ অনেকে বলেন, সরকারি বিধি বহির্ভূতভাবে এই পুকুরটি খনন করা হয়েছে। পুকুর খননের পর মসজিদে যাওয়ার রাস্তার পাড়টি তারা আর বাঁধেননি। ফলে বৃষ্টিতে পুকুরের সেই পাড়ের রাস্তাটি ভেঙে যাচ্ছে। এই পথ দিয়ে গ্রামবাসীরা প্রতিদিন মসজিদে নামাজ পড়তে যায়। এছাড়া এখানে কবরস্থান ও ঈদগাহ্ মাঠ রয়েছে। রাস্তাটি ভেঙ্গে যাওয়ার কারণে এখন চলাচল করতে অনেক অসুবিধা হচ্ছে। তাই আমরা মানবন্ধন করেছি। এছাড়া এ সমস্যা দ্রুত সমাধানের জন্য প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে পুকুরের মালিক বেলাল বলেন, পুকুরটির অনুমোদন আমি নেয়নি। তবে যারা মাটি কিনে নিয়েছেন তারা এ বিষয়টি দেখেছেন। তিনি বলেন, পুকুরের যে পাড় ভেঙ্গে গেছে সেটি মসজিদে যাওয়ার আসল রাস্তা নয়, অন্যদিকে রাস্তা রয়েছে। পুকুরের অন্য সব পাড় বাধা হলে এই পাড়টি বাধতে গেলে অভিযোগকারী উল্টো বাধা দিয়েছে। তাই এই পাড় বাধা হয়নি। মসজিদে যাওয়ার জন্য রাস্তা আমি অবশ্যই দিব। অভিযোগকারীকেও কিছু জায়গা দিতে হবে। আর পুকুরে পানি থাকার কারণে এখন পাড়টি বাধা সম্ভব হচ্ছেনা। পুকুর পানি শুকিয়ে গেলে পাড়টি বাধা হবে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরাফাত হোসেন বলেন, এ ঘটনায় একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি এ্যাসিল্যান্ডকে জানানো হয়েছে। তিনি ঘটনাস্থলে যাবেন বিষয়টি দেখতে, তারপর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

স্টাফ রিপোর্টারঃ

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *