জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে খাদ্যদ্রব্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে পোল্ট্রি খামারিরা দিশেহারা

পাঁচবিবি প্রতিনিধি :

সোনালি মুরগি উৎপাদনে খ্যাতি লাভ জনপদ জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি উপজেলায় মুরগির খাদ্যদ্রব্যের (ফিট+ধানের গুড়া) মূল্যবৃদ্ধির কারণে শত শত খামারীরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে। সরজমিনে গিয়ে খামারীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, পাঁচবিবি উপজেলার বাগজানা ইউনিয়নের কুটা হারা গ্রামের মৃত সামীর শেখের পুত্র পোল্ট্রি খামারি মোঃ মনোয়ার হোসেন (২৭) বলেন, ৬ বছর ধরে এই পোল্টি খামারির ব্যবসা করছি। আমার সেটে আছে আড়াই হাজার মুরগির বাচ্চা। কোনদিন এত সমস্যা হয়নি। যেভাবে ফিটের দাম বেড়েছে তাতে মুরগি প্রতিপালন কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। আগে এক বস্তা ফিটের দাম কিনতে পড়তো ১৮০০ থেকে ১৯০০ টাকা। এখন কিনতে হচ্ছে ২৯০০ থেকে ৩ হাজার টাকা। আর বাকিতে নিলে ৩২০০ টাকা । এরপর গুড়া, ভ্যাকসিন তো আছেই। সরকার খামারীদের প্রতি দৃষ্টি না দিলে এ ব্যবসা করা আর সম্ভব নয়।

অপরদিকে বরণ গ্রামের পোল্ট্রি খামারি মোঃ লোকমান হোসেন এর পুত্র মোঃ মীর শাহীদ হোসেন বলেন, ১২ বছর যাবত পোল্ট্রি খামারের ব্যবসা করছি। খাদ্যদ্রব্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে আমার দুতলা সেটের ৪ হাজার ২ শত মুরগি পালনে হিমশিম খেতে হচ্ছে। মুরগি বিক্রিতেও ন্যায্য মূল্য পাচ্ছিনা। এভাবে চলতে থাকলে আমাদের ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাবে। পরিবার পরিজন নিয়ে না খেয়ে মরতে হবে। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা চিকিৎসক মোঃ নিয়াজ কাযমীর রহমান জানান, অত্র উপজেলায় সরকারিভাবে নিবন্ধিত খামারের সংখ্যা ১৩২ জন। এর মধ্যে বয়লার ৪০ , সোনালী ৬০ ও লেয়ার ৩০ জন এবং হ্যাচারী রয়েছে ২টি। ব্যক্তিগতভাবে খামারির সংখ্যা আরো অধিক। তিনি বলেন, খাদ্যদ্রব্যের ঊর্ধ্বগতির বিষয়টি কেন্দ্র থেকে নির্ধারণ হয়। আমরা শুধু চিকিৎসার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করে থাকি।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *