বাড়িছাড়া তরুণরা নতুন জঙ্গি সংগঠনের সদস্যঃ ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’র সদস্য গ্রেফতার

জঙ্গি সম্পৃক্ততার অভিযোগে কুমিল্লা ও দেশের অন্যান্য অঞ্চল থেকে বাড়ি ছেড়ে যাওয়া চার তরুণসহ সাতজন ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’ নামে একটি নতুন জঙ্গি সংগঠনের সদস্য বলে জানিয়েছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব) ৬ অক্টোবর বৃহস্পতিবার দুপুরে কারওয়ান বাজারে র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেছেন র‍্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

গ্রেপ্তাররা হলেন- পটুয়াখালীর হোসাইন আহম্মদ (৩৩), মো. নেছার উদ্দিন ওরফে উমায়ের (৩৪) ও বণি আমিন (২৭)। কুমিল্লা থেকে নিরুদ্দেশ হওয়া গ্রেপ্তার চার তরুণ হলেন- ইমতিয়াজ আহমেদ রিফাত (১৯), মো. হাসিবুল ইসলাম (২০), রোমান শিকদার (২৪) ও মো. সাবিত (১৯)। গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে নব্য জঙ্গি সংগঠনের তিন ধরনের প্রচারপত্র, বিস্ফোরক তৈরির নির্দেশিকা সম্বলিত পুস্তিকা, নব্য জঙ্গি সংগঠনের কর্মপদ্ধতি (খসড়া মানহায), উগ্রবাদী বই ‘নেদায়ে তাওহীদের’ ৪ কপি ও জিহাদি উগ্রবাদ ভিডিও সম্বলিত একটি ট্যাব জব্দ করা হয়।

খন্দকার আল মঈন বলেন, গত ২৩ আগস্ট কুমিল্লা সদর এলাকা থেকে ৮ তরুণ নিখোঁজ হয়। এ ঘটনায় নিখোঁজ সংক্রান্তে গত ২৫ আগস্ট কুমিল্লার কোতোয়ালি থানায় সাধারণ ডায়েরি হয়। ঘটনাটি গণমাধ্যমে বহুলভাবে আলোচিত হয় এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশব্যাপী চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।

র‍্যাব নিখোঁজের ঘটনায় ভুক্তভোগীদের উদ্ধারে ও জড়িতদের গ্রেপ্তারে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। তদন্তকালে প্রাথমিকভাবে জানা যায়, জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ হয়ে তারা বাড়ি ত্যাগ করেছে। এরই মধ্যে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত ৬ সেপ্টেম্বর বাড়ি ছাড়ার প্রস্তুতিকালে ৪ তরুণকে হেফাজতে নিয়ে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেয় র‍্যাব। এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার রাতে র‍্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা ও র‍্যাব-১১ এর অভিযানে মুন্সীগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ ও ময়মনসিংহের বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

র‍্যাব জানায়, হাসিব ও রিফাত একবছর আগে কুমিল্লার কোবা মসজিদের ইমাম হাবিবুল্লাহর কাছে সংগঠনের বিষয়ে প্রাথমিকভাবে ধারণা পায়। পরবর্তী সময়ে হাবিবুল্লাহ তাদের উগ্রবাদে উদ্বুদ্ধ করে ফাহিম ওরফে হাঞ্জালার কাছে নিয়ে যায়। ফাহিম তাদের কুমিল্লার বিভিন্ন মসজিদে নিয়ে গিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর মুসলমানদের উপর নির্যাতনসহ বিভিন্ন বিষয়ে তাত্ত্বিক জ্ঞান প্রদান করতেন ও ভিডিও দেখাতেন। এভাবে তাদের সশস্ত্র হামলার প্রস্তুতি নিতে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার বিষয়ে আগ্রহী করে তোলে।

ডেস্ক রিপোর্টঃ

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *