জয়পুরহাটে ব্র্যাক এর আলট্রা-পুওর গ্র্যাজুয়েশন প্রোগ্রামের পূর্তি এবং আন্তর্জাতিক দারিদ্র্য বিমোচন দিবস পালন

জয়পুরহাট সদর উপজেলার ভাদসা ইউনিয়নে ব্র্যাক দূর্গাদহ শাখা এর উদ্যোগে বুধবার আলট্রা-পুওর গ্র্যাজুয়েশন প্রোগ্রামের দুই দশক পূর্তি এবং আন্তর্জাতিক দারিদ্র্য বিমোচন দিবস উদযাপিত হয়। ব্র্যাক এর জয়পুরহাট জেলা সমন্বয়কারী আরিফুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি’র বক্তব্য দেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো: আনোয়ার পারভেজ। ব্র্যাকের সিনিয়র টেকনিক্যাল অফিসার অরুন কুমার রায়ের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি’র বক্তব্যদেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তরিকুল ইসলাম, জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডা: মাহফুজার রহমান, ভাদসা ইউপি চেয়ারম্যান সরোয়ার হোসেন স্বাধীন, ব্র্যাকের জোনাল ম্যানেজার কামরুল ইসলাম, স্থানীয় দারিদ্র বিমোচন কমিটির সভাপতি ফরিদুজ্জামান লিটন প্রমুখ।

জেলা সমন্বয়কারী জানান, আলট্রা-পুওর গ্র্যাজুয়েশন কার্যক্রম ২০১৫ সালে শুরু হয়। এ কর্মসূচীর আওতায় জয়পুরহাটে ব্র্যাকের ২০২০ সাল পর্যন্ত আলট্রা-পুওর গ্র্যাজুয়েশন প্রোগ্রামের আওতায় এসেছে ১০ হাজার ৭৪ টি অতিদরিদ্র পরিবার এবং বর্তমান ২০২১ এবং ২০২২ সালের আওতায় ৩ হাজার ৬শ’ ৮৩ টি পরিবারের মাঝে কাজ চলমান রয়েছে। আলট্রা-পুওরদের বৈশিষ্ট্য সমূহ হল- উৎপাদনশীল সম্পদ নেই, দীর্ঘমেয়াদী খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন, অর্থনৈতিক অর্ন্তভুক্তিতে অভিগম্যতা নেই, নারী প্রধান পরিবার এবং রক্ষণশীল পরিবেশ, সামাজিকভাবে বিচ্ছিন্ন এবং দুর্গম এবং পিছিয়ে পড়া অঞ্চলে বসবাস করন, রোগব্যাধি এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের আঘাত সামলাতে পারেন না সর্বপরি বাজার ব্যবস্থা থেকে বিচ্ছিন্ন, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্য সেবায় অভিগম্যতা নেই।

এ পরিস্থিতিতে গ্র্যাজুয়েশন অ্যাপ্রোচ ব্র্যাক উদ্ভাবিত দারিদ্র্য বিমোচনের একটি কার্যকর কর্মসূচী এবং প্রমাণিত মডেল। এর মাধ্যমে নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে আলট্রা-পুওর ও অতিদরিদ্র্য জনগোষ্ঠীকে সার্বিক সহায়তা দেওয়া হয়। এর ফলে তাদের সম্পদ, কর্মক্ষমতা ও আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পায়। এতে পরিবারের দারিদ্র্যমুক্তি এবং দীর্ঘমেয়াদে মানসিক ও আর্থসামাজিক অবস্থার টেকসই উন্নয়নে কাজ করে থাকে ব্র্যাক।

উল্লেখ্য, ব্র্যাক ২০০২ সাল থেকে দুই দশক ধরে আলট্রা-পুওর গ্র্যাজুয়েশন (ইউপিজি) প্রোগ্রামের মাধ্যমে গ্র্যাজুয়েশন অ্যাপ্রোচের বাস্তবায়ন শুরু হয়। এর সদস্য হিসাবে নারীরা নির্বাচিত হলেও কর্মসূচীতে অংশগ্রহণের পর পুরো পরিবারটাই লাভবান হয়। অতিদরিদ্র জনগোষ্ঠীর বহুমুখী প্রয়োজন এবং স্থানীয় প্রেক্ষাপট অনুযায়ী প্রোগ্রাম ডিজাইন এবং চলমান কার্যক্রমে পরিবর্তন, পরিমার্জন এবং পরিবর্ধন করা হয়। এ কর্মসূচী বিভিন্ন উপাদানের মাধ্যমে সদস্যদের উন্নয়নের সমাজে মূলধারার সাথে সম্পৃক্ত করার মাধ্যমে অভিগম্যতা বাড়ানো হয় এবং বিভিন্ন সরকারী ও বেসরকারি সেবার সাথে সম্পৃক্ত করা হয়।

 

 

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *