নিজের তৈরি মেশিনে হাওয়াই মিঠাই বানিয়ে বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ রেজাউলের
নিজের তৈরি মেশিনে হাওয়াই মিঠাই বানিয়ে বিক্রি করে ১৭ বছর ধরে জীবিকা নির্বাহ করছেন জয়পুরহাটের রেজাউল ইসলাম(৪২)। বাবার নাম মোবারক হোসেন। জয়পুরহাট সদর থানার তেঘরবিশা গ্রামে তার বাড়ি। যেখানেই বসেন সেখানেই জড়ো হতে থাকে ছেলে-মেয়েরা। লোহার পাত দিয়ে তৈরি হাতে বানানো তার মেশিন। হাতল ঘুরিয়ে তিনি হাটে, বাজারে, পাড়া, মহল্লায়, সভা, সেমিনার, ধর্মীয় অনুষ্ঠান কিংবা মেলায় গিয়ে হাওয়াই মিঠাই বানান,বিক্রি করেন। সম্প্রতি পাঁচবিবি উপজেলার রাধানগর গ্রামে শ্রীকৃষ্ণের জন্ম উৎসবের মেলায় এসেছিলেন তিনি। এ সময় কথা হয় তার সাথে।
রেজাউল বলেন, ১৭ বছর ধরে করছি এই ব্যবসা। অন্য কর্ম করি না। আমার দুটি ছেলে মেয়ে। সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছি। হাওয়াই মিঠাই বানাতে চিনি, খাবার রং , স্প্রিট লাগে। মেশিনের তলায় লম্প জ্বালিয়ে, চিনির সঙ্গে খাওয়ার রং মিশিয়ে পাত্রে রাখতে হয়। হাতল ঘোরাতে হয়। মাকড়সার জালের মত চিনি গলে পাত্রে ছড়িয়ে পডলে বাসের কাঠি দিয়ে পেঁচিয়ে পেচিয়ে তৈরি করা হয় হাওয়াই মিঠাই। এরপর পলিথিনের কাগজে ঢুকিয়ে রাখতে হয়। কেননা ধুলোবালি উড়ে গিয়ে মিঠাইয়ে ভরলে খাওয়া যাবেনা, বিক্রিও করা যাবে না।
বর্তমানে চিনি,পলিথিন, স্পিরিটের দাম দ্বিগুন বৃদ্ধি পেয়েছে। আগে ১টি বিক্রি করতাম ১০ টাকা। এখনো বিক্রি করতে হচ্ছে ১০ টাকা। লাভও হচ্ছে কম। মিঠাই এর পরিমাণ কমিয়ে তবুও বাধ্য হচ্ছি এসব করতে।
পাঁচবিবি (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি: