কেমব্রিজ পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ অক্সফোর্ড গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ আল- আযহার মডেল মাদরাসা সৎ ও যোগ্য নাগরিক গড়ে তোলার নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান

২২ বছরে পা রেখেছে বগুড়ার সুনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কেমব্রিজ পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ। নানা চরাই উৎরাই পেরিয়ে প্রতিষ্ঠানটি ইতিমধ্যে যতেষ্ট পরিচিতি ও গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। বগুড়ার সাহসী শিক্ষা উদ্যোক্তা ও কেমব্রিজ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মোঃ আখতারুল ইসলাম আখতার কেমব্রিজ পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ এর প্রতিষ্ঠাতা। বগুড়া তথা উত্তরবঙ্গের শিক্ষাঙ্গণে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার ক্ষেত্রে তার ভূমিকা অনেকটাই স্বীকৃত। শিক্ষার বহুমাত্রিক প্রয়োজনকে সামনে রেখে এবং অভিভাবকদের চাহিদা পুরনে তিনি আরো দুটি প্রতিষ্ঠান অক্সফোর্ড গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ ও আল- আযহার মডেল মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করেছেন। তার ইচ্ছা উক্ত ৩টি প্রতিষ্ঠান দক্ষতার সাথে পরিচালনার মাধ্যমে এক দিকে সৎ যোগ্য নাগরিক তৈরীতে ভূমিকা রাখবেন অন্যদিকে বাংলাদেশকে আদর্শ নাগরিক উপহার দিতে নিরলসভাবে কাজ করে যাবেন। তিনি শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে চান সর্বত্র।

সম্প্রতি বগুড়ায় কেমব্রিজ পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ এ ব্যক্তিগত চেম্বারে বসে গ্রামীণ আলো’র প্রতিনিধিকে তিনি উক্ত কথা বলেন। তিনি জানান, বর্তমান যুব সমাজের অবস্থা ভাল না। দেখা যাচ্ছে পরিবারের ভাল সন্তানটি হঠাৎ করে বন্ধু-বান্ধবের পাল্লায় পরে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বা পড়ালেখায় অমনোযোগি হচ্ছে, স্কুলে নিয়মিত যাচ্ছে না এমনকি অন্যান্য আশঙ্কাজনক খারাপ কাজের সাথে জড়িত হয়ে যাচ্ছে। এ সব বিষয়কে সামনে রেখে কেমব্রিজ স্কুল ছেলে- মেয়েদের ২৪ ঘন্টা দেখাশুনার জন্য আবাসিক ব্যবস্থা চালু রেখেছে। ¯েœহ, মায়া-মমতা, আদর যতœ দিয়ে প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদেরকে সুন্দর মানুষরূপে তৈরীর পাশাপাশি প্রতি বছর পিইসি, জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষায় ভাল ফলাফল করার আপ্রাণ চেষ্টা চালানো হয়। তিনি বলেন, কেমব্রিজ স্কুলের আবাসিক ব্যবস্থাপনায় প্রায় ২০০ ছাত্র-ছাত্রী নিজেদেরকে ভাল মানুষ হিসাবে গড়ে তোলার আন্তরিক চেষ্টা করছে। স্কুল কর্তৃপক্ষ দরদী সেবা ও সুশিক্ষার সম্প্রসারণে আবাসিক ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতি সর্বোচ্চ সচেতন থাকার চেষ্টা করে। এখানে আবাসিক ব্যবস্থা ছাড়াও অনাবাসিক এবং ডে-কেয়ার ছাত্র-ছাত্রীদের কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ ও দেখাশুনা করা হয়। কেমব্রিজের ছাত্র-ছাত্রীদের বাসায় বা অন্যকোন কোচিং সেন্টারে আলাদাভাবে প্রাইভেট পড়তে হয় না। স্কুল কর্তৃপক্ষ ছাত্র-ছাত্রীদের ভাল ফলাফলের দায়িত্ব গ্রহণ করে থাকে। অর্থ বৃত্তি, এ+ পেতে সম্ভাব্য সব কিছু করে থাকে স্কুল কর্তৃপক্ষ। তিনি বলেন, আল্লাহর রহমতে শুধু বগুড়াতে নয় উত্তরবঙ্গের মধ্যে কেমব্রিজ স্কুল সেরা প্রাইভেট স্কুল হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।

জানা যায়- কেমব্রিজে ক্যাডেট কলেজ এর নিয়ম অনুযায়ী মেধাবী উচ্চ শিক্ষিত এবং অভিজ্ঞ শিক্ষক শিক্ষিকা দ্বারা পাঠদান করা হয়। ইংরেজির প্রতি অধিক গুরুত্ব প্রদান করা হয়। একাডেমিক ভবন, হোষ্টেল, অফিস সিসি ক্যামেরা দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করার মাধ্যমে শিক্ষার সার্বিক পরিবেশ ভাল ও উন্নত রাখার সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হয়। শিক্ষার্থীদের দৈনন্দিন কাজ কর্মে ইংরেজি কথোপকথন বাধ্যতামূলক। প্রথম শ্রেণি থেকে এখানে কম্পিউটার শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। প্রতি শনিবার সাপ্তাহিক পরীক্ষা ও মাসিক পরীক্ষার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ, সহিহ্ শুদ্ধভাবে কুরআন শিক্ষার পাশাপাশি ধর্মীয় শিক্ষক দ্বারা ইসলামের মৌলিক বিষয় সমূহের উপর মুটিভেশন ক্লাসের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। কেমব্রিজ স্কুলের কৃতিত্ব চোখে পড়ার মত। ২০০৩ সালের এসএসসি ১ম ব্যাচের পাশের হার ছিল ৯৭%। ২০০৪ সালে ৯৮%, ২০০৫ সালে ৯৯%, ২০০৬ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত গোল্ডেন এ+ সহ পাশের হার শতভাগ। ২০১৬ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত এ+সহ পাশের হার শতভাগ। প্রাথমিক ও জুনিয়র বৃত্তিলাভে কেমব্রিজ স্কুলের সুনানম রয়েছে। ২০১৫ সালে প্রাথমিক ৩ জন, জুনিয়র ৩ জন, ২০১৬ সালে প্রাথমিক ৩জন, জুনিয়র জন বৃত্তিলাভ করে। এখানকার আবাসিকের খাবারের মান যতেষ্ট ভাল মানের।

২০২২ সালে প্রতিষ্ঠিত হলেও অক্সফোর্ড গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ এবং আল- আযহার মডেল মাদরাসা শিক্ষা সম্প্রসারণে এগিয়ে যাচ্ছে। ৩টি প্রতিষ্ঠান বগুড়ার শহরের অভিজাত এলাকা উপশহরের নিজস্ব ভবনে পরিচালিত। প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান আখতারুল ইসলাম প্রতিষ্ঠান ৩টিকে নিয়ে অনেকদুর এগিয়ে যেতে চান। তিনি বলেন, অক্সফোর্ড গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের ১৭ জন শিক্ষক শিক্ষিকা, আল- আযহার মডেল মাদরাসার ১৭ জন শিক্ষক শিক্ষিকা এবং কেমব্রিজ পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের আবাসিকসহ ২৪ জন শিক্ষক শিক্ষিকা ও ১২ জন স্টাফ নিয়ে আমরা ধনী, গরিব, বিত্তবানসহ সর্বস্তরের মানুষকে শিক্ষা সেবা দিতে ও শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছি। তিনি বলেন, নিরক্ষরমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার জন্য আমাদের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

বগুড়া অফিসঃ

 

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *