বাম্পার ফলনের আশাঃ বগুড়ার আদমদীঘিতে রেকর্ড পরিমান জমিতে সরিষা চাষ

 

বগুড়ার আদমদীঘিতে গত বছরের চেয়ে চলতি মওসুমে রেকর্ড পরিমান জমিতে সরিষা চাষ করা হয়েছে। উপজেলা কৃষি বিভাগের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় চার হাজার বিঘা বেশী জমিতে সরিষা চাষ করা হয়েছে। উপজেলার মাঠের পর মাঠ সরিষার সবুজ গাছের শোভা এবং ফুলে ফুলে প্রকৃতি যেন হলুদ রংয়ে সেজেছে। চার দিকে সরিষা ফুলের মৌ মৌ গন্ধে মাতোয়ারা। ঝাঁকে ঝাঁকে মৌমাছির উড়াউড়ি আর ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করা দেখে মৌ-চাষিরা বেজায় খুশি। সরেজমিন কৃষকদের সাথে আলাপে জানা গেছে, ভোজ্যতেল তথা সয়াবিন, পামওলিন ও সরিষা তেলের লাগামহীন মূল্য বৃদ্ধি, কম খরচ ও সময়ে চাষ হওয়া এবং সরকারের বীজ ও সার প্রণোদনার কারণে কৃষকরা সরিষা চাষে বেশী আগ্রহী হয়েছে। তারা আলুসহ অন্যান্য সবজি চাষ কমিয়ে দিয়ে লাভজনক সরিষা চাষে ঝুঁকে পড়েছেন। মাঠ ঘুড়ে আবাদের যে চিত্র দেখা গেছে তাতে বাম্পার ফলন হবে বলে জানিয়েছেন উপজেলার কোমারপুর দিঘীপাড়ার আদর্শ কৃষক রহিদুল ইসলাম। আদমদীঘি উপজেলা সদরের আরেক কৃষক সুভাষ চন্দ্র সরকার জানিয়েছে বাজারে ভোজ্য তেলের দাম বেশী হওয়ায় তার পরিবারের চাহিদা মিটাতে সে এক বিঘা জমিতে সরিষা লাগিয়েছে। আশা করছে তার সরিষার ফলন খুব ভাল হবে।

এব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার মিঠু চন্দ্র অধিকারী জানান, সরকার ভোজ্য তেলের আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে দেশীয় ভাবে ভোজ্য তেল উৎপাদনের জন্য এবার রেকর্ড পরিমাণ সরিষার বীজ এবং সার প্রণোদনা দিয়েছেন। যার সুফল মিলবে বলে মাঠে আবাদের চিত্র দেখে আশা করা যাচ্ছে। এবছর উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা এলাকার তিন হাজার কৃষককে প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। এবছর উপজেলায় সোয়া ২৬ হাজার বিঘা জমিতে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। তবে সেটা অতিক্রম করেছে কৃষক ভাইয়েরা। মোট চাষ করা হয়েছে প্রায় ৩০ হাজার বিঘা। আবহাওয়া অনুকুলে থাকা ও রোগবালাই কম হওয়ার কারণে এবার সরিষা আবাদে বেশ লাভ হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তিনি আরো জানান, সরিষা চাষের ভাল দিক হল, সরিষা তোলার পর ওই জমিতে কম চাষে বোরো ধান চাষ করা যায়। সরিষা তোলা জমিতে চাষ করা বোরো চাষাবাদে সার ও কীটনাশক লাগে না তেমন একটা।

আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ

 

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *