৩০ হাজার শীতার্তের পাশে জয়পুরহাটের মানবদরদী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নূরে আলম
স্টাফ রিপোর্টারঃ
পুলিশ জনগণের সেবক এ কথা গরীব অসহায় দুস্থ সাধারন মানুষের সেবার মাধ্যমে প্রমাণ করলেন জয়পুরহাটের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নূরে আলম। পুলিশ জনগণের বন্ধু, আইনশৃঙ্খলা, চুরি, ছিনতাই, যানজোট নিরসন এবং সড়ক দুর্ঘটনায় উদ্ধার কার্যক্রমে সর্বপ্রথম পুলিশই অগ্রণী ভূমিকা পালন করে থাকে। গত বছরের আগষ্ট মাসে যোগদানের পর হতেই মাত্র ৫ মাসেই এ সব কার্যক্রম সুষ্ট ভাবে পরিচালনার মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নের বাহিরে তিনি বিভিন্ন মানবসেবার মাধ্যমে জয়পুরহাটের পুলিশ সুপার জনগণের ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছেন। জয়পুরহাট জেলায় এর আগে কখনো একযোগে সমগ্র জেলা ব্যাপী ৩০ হাজার শীতবস্ত্র বিতরণ কার্যক্রম দেখা যায় নি।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নূরে আলম জয়পুরহাট জেলায় যোগদানের পর থেকেই বিভিন্ন মানবিক কাজ করে সমগ্র জেলায় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। আর এই মানবিক কর্মকান্ড গুলো পরিচালনার ফলে জেলা পুলিশের সেবা স¤পর্কে সাধারণ মানুষের ধারণা অনেকটাই পাল্টে গেছে। এছাড়াও তিনি প্রতারনায় ক্ষতিগ্রস্থ নিঃস্ব ব্যক্তিদের মামলা ছাড়াই টাকা উদ্ধার করে দিয়ে জেলায় ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। ব্যক্তিগত উদ্যোগে প্রচন্ড ঘন কুয়াশা তীব্র শীতের মধ্যে শহরের ফুটপাত, রেলওয়ে প্লাটফরমে, রেলওয়ে বস্তি, ছিন্নমূল ঠিকানাবিহীন রাস্তা পথে বিভিন্ন স্থানে নিজেই তার সহকর্মীদের নিয়ে গভীর রাত পর্যন্ত ঘুরে ঘুরে এসব শীতবস্ত্র বিতরণ করেছেন।
এছাড়াও জেলার সদর উপজেলা, পাঁচবিবি, কালাই, ক্ষেতলাল, আক্কেলপুরসহ সকল উপজেলা এবং বিভিন্ন ইউনিয়নে সরাসরি নিজে উপস্থিত থেকে মুক্তিযোদ্ধা সহ এলকার গরীব, অসহায়, হতদরিদ্র, এতিম ও সুবিধাবঞ্চিত শীতার্তদের শীতবস্ত্র বিতরণ করেছেন মানব দরদী পুলিশ সুপার। জয়পুরহাটে বিগত দিনের তুলনায় এবার একটু বেশি শীতের তীব্রতা হওয়ায় শীতবস্ত্রের অভাবে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় গরীব, অসহায়, হতদরিদ্র মানুষদের। এ সময় বিষয়টি নজরে আসা মাত্রই ব্যক্তিগত উদ্যোগে পারিবারিক ভাবে ব্যবসায়ী বন্ধু-বান্ধব মাধ্যমে জয়পুরহাট জেলায় ৩০ হাজার কম্বল, স্যুয়েটার সহ বিভিন্ন শীতবস্ত্র বিতরণ করেছেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নূরে আলম। এ বিষয়ে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নূরে আলম বলেন, জেলা বাসীর জিম্বাদার হিসেবে কাজ করছি। তাদের ভাল-মন্দ, সুখ-দুঃখে পাশে থেকে জনগণের সেবা করার চেষ্টা করছি কিন্তু অনেক সময় পেশাদারিত্বের কারণে রাতে বের হতে হয় তখন শীতার্ত মানুষের করুণ দৃশ্য দেখে নিজেকে খারাপ লাগে। এ জন্য আমি ব্যক্তিগত উদ্যোগে নিয়েছি। পুলিশ সব সময় সাধারণ মানুষের পাশে থেকে কাজ করে যাচ্ছে।