জয়পুরহাটে নাগরিক সংগঠনের প্রতিনিধিদের সাথে ফলোআপ সভা
মাশরেকুল আলমঃ
কিশোর কিশোরীদের যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য এবং অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ব্র্যাকের সামাজিক ক্ষমতায়ন এবং আইনি সুরক্ষা কর্মসূচি (সেল্প) এর অধিকার এখানে, এখনই (আরএইচআরএন-২) উদ্যোগে ২ জুলাই বুধবার জয়পুরহাটে প্র্রকল্পের বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের সাথে ফলোআপ সভা কমিউনিটি সেন্টারের অনুষ্ঠিত হয়।
প্রকল্পের কাজের ধারাবাহিকতায় যুব জনগোষ্ঠীর যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য, জেন্ডার, যুব নেতৃত্ব এবং ইয়ুথ-এ্যাডাল্ট অংশীদারিত্বে নাগরিক সংগঠনসমূহ একসাথে কাজ করে সমন্বিত যৌনতা শিক্ষা ও যুব জনগোষ্ঠীর যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য সেবায় প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করার লক্ষে আয়োজিত নাগরিক সংগঠনের প্রতিনিধিদের সাথে ফলোআপ সভা ৩নং গ্রুপ সদস্য মিম্মা আকতার যুথি’র সভাপতিত্বে প্রকল্পের কর্মসূচীর উপর বক্তব্য দেন ব্র্যাক এর জেলা যুব সংগঠক মোসা: মুর্শিদা খাতুন।
জেলা যুব সদস্য মো: সুরুজ আলীর সঞ্চালনায় বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট ও এসআরএইচআর, প্রকল্পের পরিচিতি প্রকল্পের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য, প্রকল্পের প্রত্যাশিত ফলাফল, উদ্দেশ্য এবং জেন্ডার বৈচিত্রময় জনগোষ্ঠীর সামাজিক অর্ন্তভুক্তিকরণ এবং বয়:সন্ধিকালের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও আমার করনীয় বিষয়ে বক্তব্য দেন ব্র্যাক আরএইচআরএন-২ প্রকল্পের এরিয়া কো-অর্ডিনেটর মাধুরী সূত্রধর। যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য বিষয়ে নাগরিক সংগঠনের প্রতিনিধিদের নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে অংশগ্রহণকারী সকলের উদ্যোগের ফলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও এ বিষয়ে আলোচনার সহায়ক পরিবেশ তৈরি এবং জেন্ডার বৈচিত্রময় জনগোষ্ঠীর সামাজিক অর্ন্তভুক্তিকরণ এবং বয়:সন্ধিকালের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় কাজ করার বিষয়ে মুক্ত আলোচনা পরিচালনা করেন ব্র্যাক এর জেলা সমন্বয়কারী মো: আরিফুল ইসলাম।
অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বেসরকারী সংস্থা টিএমএসএস এর আল-মামুন সরকার, উপমা’র নির্বাহী পরিচালক সুজন কুমার মন্ডল, ডিএমএসএস এর নির্বাহী পরিচালক মাহবুবা সরকার, জিআরডিএম এর আইরিন সুলতনা, এইচপিডিও এর মোসলেমা, মানব সহায়ক কেন্দ্রের আব্দুল হাকিম মন্ডল, আশা এনজিও এর ওবায়দুর রহমান, ডিএএসসিও এর ভানুরানী সহ অন্যান্য বেসরকারী সংস্থার প্রতিনিধি গণ।
সভায় জানানো হয়, কিশোর ও তরুণরা প্রজনন স্বাস্থ্য বিষয়ে যাতে খোলামেলা কথা বলতে পারে এবং তথ্য প্রাপ্তির ক্ষেত্রে যে সামাজিক ট্যাবু ও বাধাঁ রয়েছে তা দূর করতে হবে। তরুণদের ক্ষমতায়নের ফলে তারা তাদের যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে এবং চাহিদা ও অধিকারের কথা বলতে, লিঙ্গ বৈচিত্র্য জনগোষ্ঠীর জন্য দেশের অধিকাংশ জনগণের মূল্যবোধকে শক্তিশালী করার মাধ্যমে ইতিবাচক মনোভাব তৈরি করছে। ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে মানবাধিকার ভিত্তিক আইন ও নীতিমালা গ্রহণ করছে এবং সে গুলো বাস্তবায়নের জন্য সহায়তা করছে সরকার। লিঙ্গভিত্তিক ন্যায়বিচারের জন্য সুশীল সমাজ বা নাগরিক সমাজ শক্তিশালী রয়েছে।
সভায় তৃতীয় লিঙ্গ (হিজরা) দের সর্ম্পকে বলেন, জেন্ডার বৈচিত্রময় জনগোষ্ঠীর জন্য আমাদের ভূমিকা রয়েছে। পরিবার, সমাজ, দেশে বিচ্ছিন্ন আলাদা একটা প্রাণীর মতোই তাদের জীবনযাপন করছে। স্বীকৃতি আছে, কিন্তু অধিকার নাই। হিজরারা২০১৩ সালের ১১ নভেম্বর তৃতীয় লিঙ্গের স্বীকৃতি পেলেও তাদের সব অধিকার কবে মিলবে এ খোঁজে বের করতে হবে। যুব প্রতিনিধিগণ তাদের বক্তব্যে নাগরিক সংগঠনের প্রতিনিধিদের বলেন যে, আপনারা আমাদেরকে সহযোগিতা করবেন, তাহলে আমরা মানুষদেরকে সচেতনতার কাজটি সহজে এবং দ্রুত করতে পারবো। আমরা আমাদের প্রকল্পের উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে নিয়মিত স্ব-স্ব অবস্থান থেকে ভূমিকা পালন করব। সভায় জেলা পর্যায়ের ৬টি ইয়ুথ গ্রুপের সদস্য ও এনজিও প্রতিনিধিগণ অংশগ্রহন করে।