বিদ্যুতের প্রিপেইড মিটারে অতিরিক্ত চার্জ : সংশ্লিষ্টদের আইনি নোটিশ
বিদ্যুতের প্রিপেইড মিটার সত্ত্বেও গ্রাহকদের অতিরিক্ত ও গোপন চার্জ দেয়ার অভিযোগ এনে বিলিং প্র্যাকটিস পর্যালোচনার দাবিতে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। আগামী ২৬ মে’র মধ্যে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। এর ব্যত্যয় হলে আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জামিউল হক ফয়সাল গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, গতকাল মঙ্গলবার (২১ মে) ডাক, রেজিস্ট্রার ও ই-মেইল যোগে নোটিশটি পাঠানো হয়েছে।
কামরুল হাসান রিগ্যান ও জাকির হায়দারের পক্ষে অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল হাদী এ নোটিশ পাঠান। এতে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ সচিব, পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি বাংলাদেশের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন, বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড, বাংলাদেশ রুরাল ডেভেলপমেন্ট বোর্ড, ডেসকো, ওয়েস্টজোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি, নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি ও ডিপিডিসির কর্তৃপক্ষকে বিবাদি করা হয়।
আইনজীবী জামিউল হক ফয়সাল বলেন, প্রিপেইড বৈদ্যুতিক মিটার চালু সত্ত্বেও ভোক্তারা অতিরিক্ত চার্জ, গোপন চার্জ ও স্বচ্ছতার অভাবসহ বিভিন্ন কারণে অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন। সমস্যাগুলো ব্যাপক অসন্তোষ ও আর্থিক কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু এখনো কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। এ অবস্থায় জরুরি ভিত্তিতে বিলিং প্র্যাকটিস পর্যালোচনা ও নিরীক্ষা, স্বচ্ছতা, অতিরিক্ত চার্জের রিফান্ড, জনসাধারণের সাথে যোগাযোগ এবং নীতি সংস্কারের দাবিতে নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
জামিউল হক ফয়সাল আরো বলেন, বাংলাদেশে প্রিপেইড বৈদ্যুতিক মিটার চালু করা হয়েছে। ২০২৫ সালের মধ্যে সব বিদ্যুৎ ব্যবহারকারীকে এর আওতায় আনা হবে বলে ঘোষণা রয়েছে। কিন্তু এর সুবিধা থাকা সত্ত্বেও ভোক্তারা অতিরিক্ত চার্জ, গোপন চার্জ এবং স্বচ্ছতার অভাবসহ বিভিন্ন কারণে অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন। এ সমস্যাগুলো ব্যাপক অসন্তোষ ও আর্থিক কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। গণমাধ্যমে এ বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। এজন্য লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়।
আগামী ২৬ মের মধ্যে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানানো হয়েছে। এর ব্যত্যয় হলে প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করার ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।