জয়পুরহাটে শতাধিক গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পিডিবিএফ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে
অনলাইন ডেস্কঃ
জয়পুরহাটে শতাধিক গ্রাহকের প্রায় ২০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে পল্লী দারিদ্র বিমোচন ফাউন্ডেশনের সহকারী মাঠ কর্মকর্তা রাইসুল ইসলামের বিরুদ্ধে। নিজের কষ্টের আমানতের টাকা ফেরত না পেয়ে বিপাকে পড়েছেন এসব দরিদ্র মানুষরা। এদিকে ভূক্তভোগী সদস্যরা সদর উপজেলা দারিদ্র্য বিমোচন কর্মসূচীর অফিসে এসে তাদের অর্থ ফেরত চান। টাকা ফেরত না পেয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান তারা। যদিও সংস্থাটির কর্তৃপক্ষের দাবি প্রাথমিকভাবে অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় অভিযুক্ত রাইসুল ইসলামকে ক্লোজড করা হয়েছে।
ভূক্তভোগীদের অভিযোগে জানা গেছে, দরিদ্র মানুষদের আর্থিককভাবে সাবলম্বী করতে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয়েয় আওতায় জয়পুরহাট সদর উপজেলায় দারিদ্র্য বিমোচন ফাউন্ডেশন কর্মসূচী চালু করা হয়। এ কর্মসূচীর অধীনে সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ১৭৮টি সমিতি খোলা হয়। প্রতিটি সমিতিতে ২০ থেকে ৩০ জন দরিদ্র সদস্য তাদের ও পরিবারের ভবিষ্যতের জন্য আমানত জমা করেন। এসব সমিতির মধ্যে সহকারী মাঠ কর্মকর্তা রাইসুল ইসলাম ১৬টি সমিতির সঞ্চয়সহ বিভিন্ন আমানতের টাকা উত্তোলন কাজের দায়িত্বে ছিলেন।
ভুক্তভোগিদের অভিযোগ, রাইসুল তার দায়িত্বে থাকা অবস্থায় ১৬টি সমিতির প্রায় শতাধিক সদস্যদের বিভিন্ন অংকের প্রায় ২০ লাখ টাকা উত্তালন করেন। কিন্তু পরে খোজ নিয়ে তারা জানতে পারেন অফিসের মূল রেজিষ্টারে টাকার জমা উল্লেখ করা হয়নি। এছাড়া সেইসব টাকাও কোন ব্যাংকে জমা হয়নি।
ভুক্তভোগি মালা রানী বলেন, ‘চার বছর ধরে অনেক কষ্ট করে দারিদ্র্য বিমোচনের সমিতিতে ২ লাখ টাকা জমা রাখি। পরে শুনি যে আমার টাকা জমা হয়নি। আমরা গরীব মানুষ, আমাদের টাকা ফেরত চাই।’
সুমাইয়া নামে আরেক জন সদস্য বলেন, ‘দুটি পাশ বইয়ে ১ লাখ ৫২ হাজার টাকা জমা হয়েছে। অফিসে এসে টাকার কথা বলার মাত্র কর্মকর্তারা খারাপ ব্যবহার করেন। তিন মাস থেকে টাকা না দিয়ে ঘুরাচ্ছে।’
বিষয়টি জানতে অভিযুক্ত রাইসুলের ফোনে একাধিক বার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে সদর উপজেলা দারিদ্র্য বিমোচন কর্মকর্তা সুফিয়া বেগম জানান, ‘প্রাথমিকভাবে রাইসুলের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। তাকে লালমনিরহাট সদর উপজেলায় অফিসে বদলী করে সেখানে ক্লোজড করা হয়েছে। বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।