বগুড়ায় আবাসিক হোটেলে মা-ছেলে খুন, ঘাতক বাবা আটক
বগুড়া অফিসঃ
বগুড়ার শাহজাহানপুর উপজেলার শুভেচ্ছা আবাসিক হোটেল থেকে মা ও ছেলের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় শিশুটির বাবাকে আটক করেছে পুলিশ। রোববার (২ জুন) সকালে আবাসিক হোটেলের ৩০১ নম্বর কক্ষ থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।নিহতরা হলেন- বগুড়ার ধুনট উপজেলার হেউটনগর গ্রামের আজিজুল হকের স্ত্রী আশামণি (২০) ও তাঁর এক বছরের ছেলে আবদুল্লাহ আল রাফি।স্ত্রী ও ছেলেকে হত্যা অভিযোগে আজিজুলকে আটক করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত আজিজুল পেশায় একজন সেনাসদস্য। তিনি বর্তমানে চট্টগ্রাম সেনানিবাসে কর্মরত। দুই মাসের ছুটিতে তিনি সপরিবারে বগুড়ায় আসেন। এ সব তথ্য নিশ্চিত করেছেন বগুড়ার শাজাহানপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শহিদুল ইসলাম।জানা গেছে, শনিবার সন্ধ্যায় আজিজুল তাঁর স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে হোটেলে আসেন এবং একটি কক্ষ ভাড়া নেন। রাতের কোনো একসময় হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। এরপর রোববার সকালে শুভেচ্ছা আবাসিক হোটেলের ৩০১ নম্বর কক্ষের বাথরুম থেকে আশামণির এবং ওই রুমের বিছানার নিচে থেকে তাঁর এক বছরের ছেলে আবদুল্লাহ আল রাফির গলাকাটা বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করা হয়। কক্ষটি থেকে যখন শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয় তখন সেখানে তাঁর মাথা ছিল না। এসময় কক্ষটি থেকে ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ। অনুমান করা হচ্ছে এই ধারালো অস্ত্র দিয়েই হত্যাকান্ড সংঘটিত করা হয়েছে। এ বিষয়ে বগুড়ার শাজাহানপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শহিদুল ইসলাম জানান, স্ত্রী-সন্তানকে গলা কেটে হত্যার পর প্রথমে হোটেল কক্ষ ত্যাগ করেছিলেন আজিজুল। পরে হোটেল কক্ষে এসে নাটক সাজানোর চেষ্টা করলে হোটেল কর্তৃপক্ষের সন্দেহ হয়। পুলিশে খবর দিলে ঘটনাস্থলে গিয়ে আজিজুল হককে আটক করে এবং মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত শিশুর মাথার সন্ধানে পুলিশ তল্লাশী শুরু করেছে। আটক আজিজুলের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বগুড়া শহরের চেলোপাড়া ব্রিজের নিচে করতোয়া নদীতে শিশু রাফির মাথার সন্ধানে তল্লশী চালিয়ে যাচ্ছে জেলা পুলিশ। রোববার সন্ধা ৭টায় এই রিপোর্টটি লেখা পর্যন্ত শিশু রাফির মাথা পাওয়া যায়নি।