বগুড়ায় ঈদুল আযহাকে কেন্দ্র করে লবণের সংকট সৃষ্টি করলেই ব্যবস্থা: জেলা প্রশাসক
বগুড়া অফিসঃ
কোন ব্যবসায়ি যদি লবণ সংকটের সৃষ্টি করে তবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এছাড়াও চামড়া ব্যবসায়িরা যদি কৃত্তিম ভাবে দাম কমিয়ে দেয় তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান বগুড়া জেলা প্রশাসক। বৃহস্পতিবার (৬ জুন) বিকাল সাড়ে ৩ টায় বিসিক এর আয়োজনে পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে কোরবানিকৃত পশুর চামড়া সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাতকরনে নিরবিচ্ছিন্ন লবণ সরবরাহ নিশ্চিত করতে জেলা লবণ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় সভাপতিত্ব করেন বগুড়া জেলা প্রশাসক মোঃ সাইফুল ইসলাম।
সভায় জেলা বিসিকের উপ-মহাব্যবস্থাপক ও জেলা লবণ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সচিব এ কে এম মাহফুজুর রহমান জানান, জেলায় কোরবানির জন্য চাহিদা ৫ হাজার ৩৩ দশমিক ৫৪ মেট্রিকটন। চাহিদার বিপরীতে জেলায় মজুদ আছে ৫ হাজার ৫৭৯ মেট্রিকটন। জেলায় কোরবানিযোগ্য পশুর সংখ্যা (গরু, মহিষ, গাভী) আছে ২ লাখ ৭২ হাজার ৩০৭ টি। ছাগল ও ভেড়া আছে ৪ লাখ ৬২ হাজার ১০৮ টি।
সভাপতির বক্তব্যে বগুড়া জেলা প্রশাসক বলেন, এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশী লবণ মজুদ আছে। তিনি হুশিয়ারী করে দিয়ে বলেন, কোন লবণ ব্যবসায়ি যদি লবণ সংকটের সৃষ্টি করে তবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। আর চামড়া ব্যবসায়িরা যদি কৃত্তিম ভাবে দাম কমিয়ে দেয় তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে। চামড়া ব্যবসায়িদের সাথে ট্যানারী ব্যবসায়িদের কোন দেনা-পাওনা থাকে তবে বানিজ্য মন্ত্রনালয়ের সাথে কথা বলে সমাধান করা হবে। এবার এতিম খানা, মাদ্রাসা বা কোন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান চামড়া ক্রয় করে হবে তাদের লবণ ফ্রি দেয়া হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচলক (উপ-সচিব) মাসুম আলী বেগ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (পদন্নতি প্রাপ্ত পুলিশ সুপার) মোতাহার হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মেসবাউল করিম, বগুড়া পৌর মেয়র রেজাউল করিম বাদশা, বগুড়া সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফিরোজা পারভীন ছাড়াও লবণ ব্যবসায়ি ও চামড়া ব্যবসায়িরা।