মঙ্গলবাড়ী কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে কলেজের গাছ কাটার অভিযোগ
স্টাফ রিপোর্টার:
জয়পুরহাট সদর উপজেলার মঙ্গলবাড়ী ময়েজ মেমোরিয়াল ডিগ্রী কলেজ ভবনের পেঁছনে পুকুর পাড়ে নিয়মবহির্ভূতভাবে কাটা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে। অধ্যক্ষের মৌখিক অনুমতি নিয়েই এ গাছ কেটেছেন বলে দাবি করেছেন ওই পুকুর দখলে থাকা আ: লীগ নেতা মতিউর রহমানের ছেলে শিহাব রহমান ও স্থানীয়রা। তবে অধ্যক্ষ বিষয়টি অস্বীকার করে বলছেন, তার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও মনগড়া অভিযোগ করা হচ্ছে।
কলেজ সূত্রে জানা গেছে, জয়পুরহাট সদর উপজেলার মঙ্গলবাড়ী ময়েজ মেমোরিয়াল ডিগ্রী কলেজের পেছনের পুকুর ও পাড়ের জায়গার মালিক কলেজ কর্তৃপক্ষ। তবে সেটি দীর্ঘদিন থেকে দখল করে ভোগ দখল করছেন জিতারপুর গ্রামের আ: লীগ নেতা মতিউর রহমান মতি।
মতিউরের ছেলে শিহাব রহমান জায়গার মালিক আমরা, এটি ভেবেই সে গাছ কেটেছে।তবে কলেজ কর্তৃপক্ষ দাবি করে এটা তাদের জায়গা।
১০/১২ দিন আগে মতিয়র মারা যান । বাবার মিলাদ মাহফিলের জন্য কিছু অর্থ সাহায্যের জন্য অধ্যক্ষের কাছে গেয়েছিলাম। তিনি আমাকে বলেন যে, পুকুরের কাছে গাছ আছে সেই গাছ কেটে মিলাদ পার করো। অর্ধেক নিয়ে যাও, আর অর্ধেক কলেজে দিয়ে যাও। পরে রবিবার আমার লোক গাছ কাটতে গেলে স্থানীয় কিছু লোক ও ইউনিয়ন পরিষদ বাঁধা দেয়। এরপর কাটা গাছগুলো সেখানেই আছে।
জিতারপুর গ্রামের ফরিদ বলেন, আমরা জানি পুকুরের অর্ধেক জায়গা মতিউর কিনেছিলেন, আর অর্ধেক কলেজের ছিল। গাছ কাটার জায়গা কার সেটা সঠিক জানিনা। মতিউর মারা যাওয়ায় তার ছেলে অর্থ সংকটে অধ্যক্ষের থেকে অনুমতি নিয়ে গাছ কেটেছে এমনটাই শুনেছি।
কলেজের অধ্যক্ষ মারুফা মন্ডল বলেন, কলেজ সংলগ্ন যে পুকুরটি আছে, সেটি কলেজের মালিকানাধীন। মতিউর দীর্ঘদিন ধরে সেটি দখল করে রেখেছে। তার ছেলে বলেছে আমার সাথে কথা বলে গাছ কেটেছে, তার সাথে আমার কোনদিন দেখা হয়নি, কথাও হয়নি, এমনকি তাকে আমি চিনিওনা। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও মনগড়া অভিযোগ করা হচ্ছে। গাছ কাটার খবর পেয়ে আমি কলেজের কয়েকজনকে ফোন করে গাছ কাটা বন্ধ করে দেই। পরে বিষয়টি এডিএম মহোদয়কে জানিয়েছি।
এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মহিউদ্দীন জাহাঙ্গীর বলেন, গত রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) অধ্যক্ষ বিষয়টি আমাকে জানান। সেই গাছগুলো সেখানেই রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।