কালাইয়ে গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে সোনালী আমের মুকুল

বিশেষ রিপোর্ট:

ধীরে ধীরে তাপমাত্রা বাড়ছে।শীতের আমেজ শেষ,এবার গরমে পালা, প্রকৃতিতে ঋতুরাজ বসন্ত চলছে। ফাগুনের আগুন জ্বলছে প্রকৃতিতে।অগ্নিঝরা ফাগুনের আবহনে এরই মধ্যে ফুটেছে শিমুল, ফুটেছে পলাশ আম্রকাননে ঝিলিক দিচ্ছে সোনালী মুকুল।

জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভাসহ এলাকায় আম গাছে মুকুল আসতে শুরু করেছে। চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ছে এ মুকুলের ঘ্রাণ।গত বছরের তুলনায় এবছর আম গাছে মুকুলের পরিমাণ কিছুটা বেশি।আবহাওয়া ভালো থাকলে এবার আমের বাম্পার ফলনের আশা করছেন আমচাষী ও কৃষি বিভাগ।

তবে আমের ফলন নির্ভর করছে আবহাওয়ার ওপর আর এ কারণেই আশায় বুক বেঁধে আম চাষীরা শুরু করেছেন পরিচর্যা।তাদের আশা,চলতি মৌসুমে তারা আম থেকে অর্থনৈতিক ভাবে অনেক লাভবান হবেন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, এ উপজেলার আম বাগানের সারি সারি গাছে শোভা পাচ্ছে কেবলই ছোট বড় অনেক মুকুল। চারিদিকে ছড়াচ্ছে সেই মুকুলের সুবাসিত  পাগল করা ঘ্রাণ।আম গাছের ফুলের সৌরভ যেন হলুদ আর সবুজের সমারোহ।মুকুলে মুকুলে ভরে গেছে গাছের প্রতিটি ডালপালা।আমের মুকুলের মিষ্টি ঘ্রাণে মৌ মৌ করছে প্রকৃতি।মুকুলের সেই সুমিষ্ট সুবাস আলোকিত করে তুলছে আম চাষীদের মন।এবার মৌসুমে শুরুতে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় মুকুলে ভরে গেছে আমবাগান সহ ব্যাক্তি উদ্যোগে লাগালো আম গাছ গুলোতে।যতোই দিন যাচ্ছে ততই নতুন নতুন জাত উদ্ভাবন হচ্ছে।যেসব জাতের আমের বাগানও তৈরি হচ্ছে। অল্প সময়ের মধ্যে মিলছে আমের ফলনও। দেশের অর্থনীতিতে আম লাভজনক মৌসুমী ফল ব্যবসা। আমের নাম গুলো হচ্ছে, আমরুপালী,নেংড়া,হাড়িভাঙ্গা, বারি-৪, বারি-৫, নাকফজলি,ও আশ্বিনা জাতের গাছ রয়েছে।

উপজেলার আহম্মেদাবাদ ইউনিয়নের হাতিয়র গ্রামের আম চাষি মোতাকাবের সরকার বলেন,এবার আগেভাগে মুকুল এসেছে। এখন আমের ভালো ফলন পেতে ছত্রাকনাশক প্রয়োগসহ আম গাছে পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। তাদের বাগানের অধিকাংশ গাছ-ই এরইমধ্যে মুকুলে ছেয়ে গেছে। এবার কুয়াশা কম থাকায় মুকুল ভালোভাবে ফুটছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর তারা আমের বাম্পার ফলন পাবেন বলে তারা আশা করছেন।

এ উপজেলার আরেক আম চাষী কাজী মোঃ শাহানুর ইসলাম বলেন, আমার বাগানে বিভিন্ন জাতের আমের ৫০টি গাছ আছে। আশা করি এবার আমের বাম্পার ফলন হবে, আমাদের আম দেশের বিভিন্ন শহরে চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানি করা হয়। আরো বলেন, এই বছর মুকুল আসার মুহুর্তে বৃষ্টি না হওয়ায় মুকুল তাপে পুড়ে যাওয়ায় সম্ভাবনা আছে। তবে আশা করছি গত বছরের চেয়ে এ বছর আমের বাম্পার ফলন হবে।

কালাই উপজেলা কৃষি অফিসার অরুণ চন্দ্র রায় বলেন,আমের মুকুল আসার আগে-পরে যেমন আবহাওয়ার প্রয়োজন,এ বছর তা বিরাজ করছে। জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত আম গাছে মুকুল আসার আদর্শ সময়।এ সময়ে মুকুলের প্রধান শত্রু হচ্ছে কুয়াশা।এখন পর্যন্ত কুয়াশা কম এবং আকাশে উজ্জ্বল রোদ থাকায় আমের মুকুল ভালো ফুটছে। তবে প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এবং আম চাষিরা সময়মতো আম গাছে পরিচর্যা করলে চলতি মৌসুমে আমের ভালো ফলন পাওয়া যাবে।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *