আদালতে উত্তেজনা, হত্যা মামলার আসামির দিকে ডিম নিক্ষেপ

বগুড়া অফিস:

বগুড়ার আলোচিত পরিবহন মাফিয়া ও যুবলীগ নেতা আমিনুল ইসলামকে একটি হত্যা মামলায় পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। অন্তত দুই ডজন মামলার এই আসামি শাহ ফতেহ আলী পরিবহনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সাবেক কাউন্সিলর। তাকে আদালতে আনা হলে পঁচা ডিম নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। উত্তেজিত পরিস্থিতিতে মব সৃষ্টির শঙ্কায় পদক্ষেপ নেয় সেনাবাহিনী।

রোববার (২০ জুলাই ২০২৫) দুপুরে কড়া পুলিশি নিরাপত্তায় আমিনুলকে বগুড়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। গত বছরের ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত কমরউদ্দিন বাঙ্গি হত্যা মামলায় তার রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালতের বিচারক মেহেদী হাসান। কড়া নিরাপত্তার মধ্যেই আদালত চত্বরে আসামিকে লক্ষ্য করে পঁচা ডিম নিক্ষেপ করে বিক্ষুব্ধ যুবকরা।

গোয়েন্দা পুলিশ জানিয়েছে, আমিনুলকে আদালতে হাজির করে গত বছরের ৪ আগস্ট বগুড়ায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত সেলিম, কমরউদ্দিন বাঙ্গি ও আব্দুল মান্নান হত্যা মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড আবেদন করা হয়। কমরউদ্দিন হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবির উপপরিদর্শক জাহাঙ্গীর কবির সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। সেই মামলায় তার পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এছাড়া সেলিম ও মান্নান হত্যা মামলায় তাকে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন।

গত শনিবার রাজধানীর গুলশান থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে আমিনুল ইসলামকে (৫০) গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। তিনি বগুড়া পৌরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর। শহরের নিশিন্দারার আব্দুল লতিফ মন্ডলের ছেলে আমিনুল কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষিত যুবলীগের একসময়ের দাপুটে নেতা ও পরিবহন মাফিয়া হিসেবে পরিচিত। তিনি গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর আত্মগোপন করেন।

বগুড়ার গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ইনচার্জ ইকবাল বাহার জানান, কড়া পুলিশি নিরাপত্তায় তাকে আদালতে নেওয়া হয়। বাইরে কিছু যুবক হৈচৈ করলেও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। কাউন্সিলর আমিনুল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার ঘটনায় ৯টি মামলার এজাহার নামীয় পলাতক আসামি। তার বিরুদ্ধে হত্যা, অপহরণ, চাঁদাবাজি, মারপিট, বিস্ফোরক ও দুর্নীতি দমন কমিশনের মামলাসহ ২১টির বেশি মামলা তদন্তাধীন এবং আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *