বগুড়ায় ডাকাত গ্যাং গ্রেপ্তার, সাঁড়াশি অভিযানে ডিবি
বগুড়া অফিস:
বগুড়ার গোয়েন্দা পুলিশের অভিযানে আন্তঃজেলা ডাকাত গ্যাংয়ের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এসময় ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত দুটি ট্রাক ও লুণ্ঠিত গরু বিক্রয়ের নগদ একলাখ পাঁচ হাজার টাকা পাওয়া গেছে। ডাকাতির সঙ্গে জড়িত সংঘবদ্ধ অপরাধী গোষ্ঠীর সদস্যদের শনাক্ত করে সাঁড়াশি অভিযান চালানো হচ্ছে।
সোমবার (১৮ আগস্ট) বগুড়ার গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ইনচার্জ ইকবাল বাহারের নেতৃত্বে পৃথক অভিযানে ঢাকার আশুলিয়া, বাইপাইল, নিশ্চিন্তপুর বাজার ও ধোলাইখাল এলাকা থেকে আন্তঃজেলা ডাকাত গ্যাংয়ের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ডাকাতির সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকারও করেছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা- ভোলার বোরহান উদ্দিন থানার দক্ষিণ ছোট মানিক এলাকার দিদার আলী (৩৪), আব্দুল মান্নান মুন্না (২৩), লক্ষিপুর গ্রামের সোহেল রানা (২৮), তজিমুদ্দিন থানার সোনাপুর এলাকার জিয়াউর রহমান (৩৫) এবং ঢাকার আশুলিয়া নিশ্চিন্তপুরের জাফর হোসেন (৪৫) । ডাকাতদের মধ্যে জিয়াউর রহমান জিয়া অপরাধ স্বীকার করেছে। ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিতে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
বগুড়া জেলা পুলিশের মিডিয়া মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আতোয়ার রহমান জানান, সংঘবদ্ধ অপরাধী গোষ্ঠীর সদস্যরা গত ৮ আগস্ট শাজাহানপুরের পাড়টেপুর (আশেকপুর) এলাকায় প্রাণ কোম্পানির ডেইরি ফার্মে হানা দেয়। ফার্মের ৮টি ফ্রিজিয়ান গরু এবং বিভিন্ন যন্ত্রাংশ লুট করে। এ ঘটনায় শাজাহানপুর থানায় মামলা দায়ের হলে ডিবিতে তদন্তভার দেওয়া হয়।
পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, আন্তঃজেলা ডাকাত গ্যাংয়ের সদস্যরা শাজাহানপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় লুটের ঘটনা ঘটিয়েছে। গ্রেপ্তার জিয়াউরের বিরুদ্ধে অস্ত্র, ডাকাতি, চুরিসহ চারটি মামলা আদালতে বিচারাধীন। ডাকাত গ্যাংয়ের আরও সদস্য আছে, অভিযান ও তদন্তের স্বার্থে বিষয়টি প্রকাশ করা যাচ্ছে না। পুরো চক্রকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।