জয়পুরহাটে ব্যাংকের চালান ও কাগজপত্র জাল জালিয়াতির দায়ে আইনজীবী আনিছুর কারাগারে
জয়পুরহাটে চেকের মামলায় ব্যাংক চালান জালিয়াতির দায়ে আইনজীবী কারাগারে। গতকাল সোমবার বিকেলে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক নীশিথ রঞ্জন বিশ্বাস এ আদেশ দেন। মামলার বিবরণে জানা যায়, সোহেল রানা নামে এক ব্যাক্তির বিরুদ্ধে চেকের টাকা পাওয়াকে কেন্দ্র করে আদালতে মামলা করেন। সেই মামলায় সোহেল রানা কারাগারে থাকে।
তাকে কারাগার থেকে জামিনে মুক্ত করার জন্য আইনজীবী, কারারক্ষী ও মুহুরিসহ ৬ জনের যোগসাজসে ব্যাংকের চালান ও অন্যান্য কাগজ পত্র করে জাল জালিয়াতি করে সোহেল রানা কে জামিনে মুক্ত করে। পরে বাদী ও ব্যাংকের সন্দেহ হলে গোয়েন্দা পুলিশকে জানালে গোয়েন্দা পুলিশ তদন্ত করে আইনজীবী, মুহুরি ও কারারক্ষীসহ ৬ জনের সম্পৃক্ততা পেয়ে তাদের বিরুদ্ধে জয়পুরহাট থানায় মামলা করেন গোয়েন্দা পুলিশ। মামলায় আইনজীবী আনিছুর রহমান ভারতে পলাতক ছিল। সোমবার জয়পুরহাট চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জামিন চাইতে আসলে বিচারক জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। এ বিষয়ে জয়পুরহাট আইনজীবী সমিতির সভাপতি রফিকুল ইসলাম তরুণ এ্যাড. আনিছুর রহমান কে কারাগারে পাঠানোর ব্যাপারে নিশ্চিত করে বলেন, মিটিং এ সিদ্ধান্তের পর বিষয়টি জানানো হবে।
এ ব্যাপারে জয়পুরহাট পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নুরে আলম বলেন, ফিড ব্যবসায়ী সোহেল রানার নামে আদালতে একটি চেকের মামলা হয়। চেকের মামলায় সোহেল রানার আইনজীবী আনিছুর রহমান চেক জালিয়াতি করে সোহেল রানাকে জামিন করেন। পরবর্তীতে সন্দেহ হলে পুলিশকে জানায়। পরে গোয়েন্দা পুলিশ তদন্ত করে এক আইনজীবীসহ ৬ জনের সম্পৃক্ততা পাওয়ায় সদর থানায় মামলা করে গোয়েন্দা পুলিশ। আইনজীবী আনিছুর রহমান ভারতে পলাতক ছিলেন। আইনজীবী দেশে এসে সোমবার জামিন নিতে গেলে আদালতের বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো নির্দেশ দেন।