দুই মাসের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা পেল সেনাবাহিনী
অনলাইন ডেস্ক:
সারাদেশে সেনাবাহিনীকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দিয়েছে সরকার। সেনাবাহিনীর কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা এ ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবেন। মঙ্গলবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, আগামী দুই মাস সারাদেশে এ সিদ্ধান্ত বলবৎ থাকবে।
এতে বলা হয়, ১৮৯৮ এর ১২ (১) ধারা অনুযায়ী বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দেওয়া হলো। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ফৌজদারি কার্যবিধি ১৮৯৮-এর ধারা ৬৪, ৬৫, ৮৩, ৮৪, ৮৬, ১৫ (২), ১০০, ১০৫, ১০৭, ১০৯, ১১০, ১২৬, ১২৭, ১২৬, ১৩০, ১৫৩, ১৪২ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা অর্পণ করা হলো। ফৌজদারি কার্যবিধির ১৮৯৮-এর ১৭(১) ধারা অনুযায়ী, ক্ষমতাপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা সংশ্লিষ্ট জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের তত্ত্বাবধানে দায়িত্ব পালন করবেন বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সামি-উদ-দৌলা চৌধুরী বলেন, ‘সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। এটি সারাদেশের জন্য কার্যকর থাকবে।’
সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়ার বিষয়ে জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞ ও সাবেক অতিরিক্ত সচিব ফিরোজ মিয়া সমকালকে বলেন, ‘সরকার প্রয়োজন মনে করলে সেনাবাহিনীকে কাজে লাগাতে পারে। পোশাক কারখানা এলাকায় যা শুরু হয়েছে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেই। পুলিশ একেবারে অকার্যকর। দেশের স্বার্থে ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
সাবেক সচিব এ কে এম আব্দুল আউয়াল মজুমদার বলেন, ‘জাতীয় সংকটে অতীতেও বিভিন্ন সময় সেনাবাহিনীকে এ ধরনের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছিল। দেশের প্রয়োজনে এটা হতেই পারে, মন্দের কিছু দেখছি না।’ তিনি বলেন, ‘সেনাবাহিনীকে এ ক্ষমতার প্রয়োগ সতর্কভাবে করতে হবে। তাদের অনুরোধ করব, তারা যেন ফৌজদারি কার্যবিধির সংশ্লিষ্ট ধারাগুলো যথেষ্ট সতর্কভাবে প্রয়োগ করে। যেটুকু দরকার, ততটুকুই যেন প্রয়োগ করা হয়। কোনো কিছুতে বাড়াবাড়ি যেন না হয়।’