২ বছর পর নির্বাচন, আবারো ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে: জয়

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ২ বছর আগে থেকেই আবারো ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে বলে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও তার তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, অনেকে আশায় থাকেন, বিদেশী শক্তি এসে ষড়যন্ত্র করে বিএনপিকে ক্ষমতায় বসিয়ে দেবে।

রোববার (১২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় পঞ্চম ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবসে টেলিটকের মাধ্যমে দেশে প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলক ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন তিনি।

ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক চালু উপলক্ষে রাজধানীর হোটেল রেডিসনে আয়োজিত ‘নিউ ইরা উইথ ফাইভ-জি’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভিডিও কনফারেন্সে অংশ নেন জয়।

নির্বাচন আসার আগে ষড়যন্ত্র বেড়ে যায় মন্তব্য করে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, ‘আমরা দেখেছি ইতিহাসে, যখনই বাংলাদেশ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে, তখনই কিন্তু কিছু কিছু ষড়যন্ত্র আমাদের বিরুদ্ধে দাঁড়ায়। আমি এটা খেয়াল করেছি যখনই আমাদের নির্বাচনের বছর দুয়েক চলে আসে, তখনই কিন্তু এই ষড়যন্ত্র বেড়ে যায়। ’

‘ঠিক এখন আমাদের সামনের দু’বছর পরে আরেকটা নির্বাচন আছে, এখনই দেখছি এই সেই ষড়যন্ত্র শুরু হচ্ছে। ’

অনেকে আশায় থাকে বিদেশীরা ক্ষমতায় বসিয়ে দিবে মন্তব্য করে জয় বলেন, ‘আমাদের এক শ্রেণি আছে, এক শ্রেণির মানুষ … তাদের সাথে আমাদের বিরোধী দল। তারা তখন তাদের বিদেশি মালিকদের কাছে নালিশ করা শুরু করেন, তাদের কাছে হাত পাততে থাকেন, তাদের আশায় বসে থাকে যে তারা বিদেশ থেকে এসে ষড়যন্ত্র করে বিএনপিকে আবার ক্ষমতায় বসিয়ে দেবে। ’

সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, ‘আপনারা জানেন যে, এই বিদেশি শক্তি কারা। যারা আমাদের, তাদের কাছ থেকে লড়াই করে আমাদের স্বাধীন হতে হয়েছে। আর যারা একাত্তরে আমাদের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছে। তো সেই ষড়যন্ত্র কিন্তু আবার শুরু। ’

সবাইকে সর্তক থাকার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ছেলে বলেন, ‘আমি আপনাদেরকে একটু সতর্ক করতে চাই, যে এই ষড়যন্ত্রকে আমরা সফল হতে দেবো না। এই ষড়যন্ত্র যদি আবার সাফল্য হয়, তাহলে কিন্তু বাংলাদেশ আবার পিছিয়ে যাবে। ডিজিটাল বাংলাদেশ তো দূরের কথা। তখন আবারো আমরা সেই আমলে নেমে যাবো যে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ থেকে আবার নেমে যাবে। ’

‘তবে আমার আত্মবিশ্বাস যে, দেশের মানুষ এখন অনেক সতর্ক, অনেক শিক্ষিত। আমরা অনেক যে পরিমাণ এগিয়ে এসেছি, আমাদের কেউ দাবায় রাখতে পারবে না। আওয়ামী লীগ যত দিন ক্ষমতায় থাকবে ততদিন বাংলাদেশকে আমরা পিছিয়ে যেতে দেবো না। ’

জয় বলেন, ‘আগামীতে আমাদের স্বপ্ন হচ্ছে বাংলাদেশকে একটি উন্নত দেশে পরিণত করবো। আওয়ামী লীগ যতদিন ক্ষমতায় থাকবে এই স্বপ্নকে আমরা পূরণ করবো। ’

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি ভিডিও বার্তা প্রচার করা হয়।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি একেএম রহমতুল্লাহ, টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. খলিলুর রহমান, বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার, টেলিটকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সাহাব উদ্দিন।

এছাড়া হুয়াওয়ের এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের প্রেসিডেন্ট সাইমন লিন এবং হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী ঝ্যাং ঝেংজুন অনুষ্ঠানে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হন। বাংলাদেশ ও ফাইভ-জি উন্মোচনের সঙ্গে সম্পৃক্ত সবাইকে অভিনন্দন জানান তারা।

টেলিটকের মাধ্যমে প্রাথমিকভাবে ঢাকায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, ধানমন্ডি-৩২, বাংলাদেশ সচিবালয়, মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ এবং ঢাকার বাইরে সাভার ও টুঙ্গিপাড়ায় এই সেবা পাওয়া যাবে। হুয়াওয়ে এবং নোকিয়ার সহযোগিতায় এই সেবা চালু করা হচ্ছে।

বিশ্বের নবম দেশ হিসেবে বাংলাদেশে ফাইভজি সেবা চালু হলো বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়।

বাংলাদেশ সময়: ০১৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০২১
এমইউএম/জেআইএম

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *